কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসন ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি ইটভাটা এক্সকেভেটর দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। কিছু দিন আগেও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই পাঁচটি ইটভাটায় জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। তবুও ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ না করায় আবারও অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের অভিযোগে পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। ভেঙে দেয়া ইটভাটা গুলো হচ্ছে, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এমএসএইচ ব্রিকস, ডাব্লিউএএইচ ব্রিকস ও কেবি ব্রিকস। বড়ভিটা ইউনিয়নের এমএবি ব্রিকস এবং শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত জেএমএস ব্রিকস।
[33296]
জানা যায়, উল্লিখিত পাঁচটি ইটভাটা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে ইটভাটা পরিচালনা করার বিধান থাকলেও এসকল ইটভাটা মালিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সম্পুর্ণ অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিল। ফলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
অভিযান পরিচালনার সময় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনুমা তারান্নুম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এর আগে ইটভাটা গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল । কিন্তু তারপরও তারা কার্যক্রম বন্ধ করেনি। অভিযান চালিয়ে অবৈধ পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
