কুষ্টিয়ায় নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটাগুলো। পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে কুষ্টিয়ার চরসাদিপুর ইউনিয়নে ৩৩টি অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে অন্তত ১৯টিতে ব্যবহৃত হচ্ছে নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি। এসব ভাটায় ফসলি জমির মাটি ও কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।
২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬০ সদস্যের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালায়। তবে ভাটার মালিক ও শ্রমিকরা তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে মালিকরা আগামী বছর থেকে অবৈধ ভাটা পরিচালনা করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে অভিযানিক দলকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন।
১১ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর ১০টি অবৈধ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরপর ১২ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মিকাইল ইসলামের নেতৃত্বে আবার অভিযান চালিয়ে ৬টি ইটভাটাকে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের কয়েকদিনের মধ্যেই আবারও চালু হয়েছে অবৈধ ইটভাটাগুলো। নিষিদ্ধ চিমনিতে কাঠ পোড়ানো অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জরিমানা করা হয়, মুচলেকা নেওয়া হয়, কিন্তু দু-একদিন পর আবারো ভাটা চালু হয়।”
শ্রীকোল এলাকার কেআরবি ইটভাটার মালিক আছাই জানান, “পাঁচ বছর ধরে জরিমানা-মুচলেকা দিয়েই ভাটা চালাচ্ছি। মঙ্গলবারও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছি। আগামী বছরও অবৈধভাবে ভাটা চালাবো।”
কুমারখালি উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, “নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ছয় ভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে স্থানীয়রা বলছেন, কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এভাবে অভিযান চালিয়েও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :