রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রাক-নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। এবার রুয়েটের প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ১৬ জন শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকেলে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলন করে পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ২৩৫টি আসনের বিপরীতে ১৯ হাজার ৯১৫ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেবে। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১৬ জন। ভর্তি পরীক্ষা তিন শিফটে আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাক-নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার শিফট ও পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের জালিয়াতি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম শিফটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন রোল নম্বর-১০০০০১ থেকে ১০৬৬৩৯ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় শিফটে রয়েছে রোল নম্বর-২০০০০১ থেকে ২০৬৬৩৮ পর্যন্ত, তাঁদের পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। এছাড়া তৃতীয় শিফটে রোল নম্বর- ৩০০০০১ থেকে ৩০৬৬৩৮ পর্যন্ত পরীক্ষা হবে, তাদের পরীক্ষা চলবে বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে নির্বাচনী (লিখিত) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। এ পরীক্ষায় ‘ক’ ও ‘খ’ উভয় গ্রুপের জন্য সর্বমোট ৩৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য অতিরিক্ত ১০০ নম্বরের মুক্তহস্ত অংকন পরীক্ষা হবে। পরে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মার্চ।
তিনি জানান, পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও ফটোকপি, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটাধারীদের গোত্রপ্রধানের দেওয়া সনদের সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। আর পরীক্ষা চলাকালে অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ছাড়া অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচএম রাসেল, ছাত্র-কল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) জেডএইচএম মনজুর মোর্শেদ, জনংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মুরতুজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :