শসার কেজি ১০ টাকা, লোকসানে চাষিরা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম

শসার কেজি ১০ টাকা, লোকসানে চাষিরা

ক্ষেতে শসা তুলছেন দাঁতমারার কৃষক নুরুল আফছার, ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিগত বছরে জমি থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হলেও এবার মৌসুমে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। অনেকেই আবার বলছেন ১০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে না শসা। ন্যায্য দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষকেরা।

জানা গেছে, কৃষকের উৎপাদিত শসার দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত কৃষক। বাধ্য হয়ে কেউ পানির দরে শসা বিক্রি করছেন। এতে মজুরি খরচই উঠছে না বলে জানান চাষিরা। রোজার মাসে শসার দাম না বাড়লে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করেছেন শসা চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শসার আবাদ হয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয়। বিগত কয়েকবছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকেই শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠান। কিন্তু এ বছর ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

সরেজমিনে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের ধুলিয়াছড়ি এলাকার চাষি নুরুল আফছার বলেন, এ বছর দুই একর জমিতে শসার আবাদ করেছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন শসার দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছি। যদিও মৌসুমের শুরু, রমজানে যদি দাম ভালো না পায় তাহলে ব্যাপক লোকসানে পড়তে হবে। বাজারে শসার যে দাম, তাতে মজুরি খরচই উঠবে না।

সুয়াবিলের ইউনিয়নের চাষি মোয়াজ্জেম বলেন, শসার ফলন ভালো হয়েছে ঠিকই, তবে ৫০ কেজি ওজনের একেকটি শসার বস্তায় ৫০০ টাকাও মিলছে না। প্রতি বছর রমজান মাসে শসার দাম চড়া থাকে। আমরা এখন সেই আশায় আছি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শসার চাহিদা আগে বেশি থাকায় দাম ছিল বেশি, এখন চাহিদা কম তাই দামও কম। কয়েকদিন আগে ১০-১২ টাকা দরে শসা কিনেছে কৃষকদের কাছে কিন্তু এখন চাহিদা কম থাকায় এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কম।

ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মূলত এখন উত্তোলন শুরু হয়েছে মাত্র। আগাম যারা শসা চাষ করেছে তারা লোকসানের সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে লোকসান ঠেকাতে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে পারে। কিন্তু রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যারা শসার আবাদ করেছে, তারা ভালো দাম পাবেন আশা করছি।

মূলত বাজারের ওপরই নির্ভর করছে শসার দাম। তবে কৃষকরা যেন ভালো দাম পায় এজন্য কৃষিবিভাগ কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!