পটুয়াখালী কলাপাড়ার পায়রা বন্দর সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে এফবি মা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । এ সময় ডাকাতদের হামলায় ও গুলিতে ৩ জেলে আহত হয়েছেন।
পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে সাগরবক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। মারধর ও গুলিতে আহত জেলেরা হচ্ছেন জালাল শরীফ (৫৫), মো. শাহআলম (৪৫) ও মিজানুর রহমান (২৫)। এদের সকলের বাড়ি মহিপুরের নিজামপুর বিপিনপুর গ্রামে।
শুক্রবার বিকালে আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জালাল শরীফের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করেন। তার চোখের মধ্যে বুলেটবৃদ্ধ রয়েছে। বাকি দুজন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জালাল শরীফের ডান চোখে গুলি লেগেছে , বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছেন।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সাগরে গিয়েছিলেন গতকাল রাতে কিনারে ফেরার পথে পায়রা বন্দর এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত তাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি করে । তাদের গুলিতে ট্রলারে থাকা ৩ জন গুরুতর আহত হই। ট্রলারে উঠে ডাকাতরা বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। ট্রলারে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ, ১২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, জ্বালানী তেলসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। পরে তারা প্রাণ ভিক্ষা এবং ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ জানালে ডাকাতরা মালামাল নিয়ে চলে যান। এ সময় তারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে গেছে । শুক্রবার দুপুরে মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে ট্রলার মালিককে বিষয়টি জানাই।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, এফবি মা নামের একটি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা আমরা চিন্তিত। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি।
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :