লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় নুরল করিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে স্থানীয়রা।
করিম কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে।
আনন্দ মিছিল শেষে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল করিম, প্রবাসী মোস্তাফিজ হাওলাদার, ইসমাইল হোসেন, ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান, রোকন উদ্দিন, সেলুন দোকানী আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন। তারা নুরুল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগরের চরলরেন্স গ্রামের বাড়ি থেকে করিমকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাকে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেলুন দোকানি আরিফ হোসেন বলেন, করিম আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণা করেছে। ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। টাকার চিন্তায় দিশেহারা হয়ে আছি।
ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, রাতের অন্ধকারে নুরুল করিম আমার দোকানঘর ভেঙে দখল করে নেয়। অনেকের কাছেই গেছি, কেউ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে নিতো।
প্রবাসী মোস্তাফিজ হাওলাদার বলেন, করইতলা বাজারের ব্যবসায়ী ছিলাম। তখন গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছি। বাজারের দক্ষিণ পাশে গণশৌচার ছিল। বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল করিম ক্ষমতা দেখিয়ে তা ভেঙে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করে।
চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নুরুল করিম বলেন, করিম মানুষের দোকানপাট দখল করে ট্রলি চালক থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। আদম ব্যবসায়ীর নামে বিদেশে নিয়ে অসহায় গরিব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা সবাই খুশি। উপযুক্ত বিচার চাই।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, করিমকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৪ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :