বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ দিনে ঐ স্কুল ছাত্রীকে না পেয়ে আজ রোববার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে অপহৃত ছাত্রীর বাবা। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহন করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু। ঘটনার অভিযোগে আসামিরা হলো, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মৃধার ছেলে মোঃ মহিবুল্লাহ (১৭), তার বাবা আবদুর রাজ্জাক মৃধা, চাচা ফরজ মৃধা ও আল আমীন।
[33709]
জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের ভিকটিম ঐ ছাত্রী স্হানীয় একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য পিছু নেয় প্রধান অভিযুক্ত আসামি মহিবুল্লাহ। এতে ঐ ছাত্রীর বাবা বিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এতে মহিবুল্লাহ ক্ষিপ্ত হয় পথে ঘাটে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে ছাত্রীকে উত্যক্ত করত।
গত ৩০ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ভিকটিম ছাত্রী পায়ে হেটে আমতলী উপজেলার গাজীপুর ফাজিল মাদ্রাসার সম্মুখের পাকা রাস্তার উপর পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা মহিবুল্লাহ ও তার বন্ধু আল আমীন ভিকটিমকে খুনের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে মামলার বাদী আসামি মহিবুল্লাহর বাবা মোঃ রাজ্জাক মৃধা ও চাচা মোঃ ফরজ মৃধার নিকট মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বললেও আর ফেরত দেয়নি।
[33707]
এ বিষয়ে বাদি বলেন, আমার নাবালক মেয়েকে মহিবুল্লাহ ও তার বন্ধু আল আমীন অপহরণ করে নিয়েছে। আমার মেয়ে মহিবুল্লাহ কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করতে পারে। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার পর হত্যাকাণ্ড করতে পারে। এমনকি তারা ওকে বিদেশে পাচারও করতে পারে। আমার মেয়ে জীবিত নাকি মৃত তাও জানি না। ১০ দিন হয়েছে আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। আমি চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আসামি মহিবুল্লাহর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ পেলে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।