কক্সবাজার সদর থানার তালিকাভূক্ত আওয়ামী শীর্ষ সন্ত্রাসী আবুল মনসুর লুদুইয়া ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে পূর্ব রুমালিয়ার ছড়ার আব্দুস সবুর সওদাগরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলের অভিযোগে ২২টির অধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হেন কোনও অপরাধ নাই সে করেনি। গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পরও এই আওয়ামী সন্ত্রাসী তার অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১১ আগস্ট কক্সবাজার কারাগারের সামনে নূর মোহাম্মদের বাড়িতে হামলা করে জমি দখল করে। এ ঘটনায় ২৯/৯/২৪ তারিখ কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সন্ত্রাসী আবুল মনসুর লুদুইয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নম্বর ৭৭/৬৩৩।
[33721]
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার শহরে মিছিল এবং সরাসরি হামলার ঘটনায় লুদুইয়া জড়িত থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইয়াল হয়েছিলো। এতো অপকর্ম করার পরও আওয়ামী এ সন্ত্রাসী এখনও আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে লোকেমুখে নানান সমালোচনার ঝড় উঠেছে।শুধু লোকেমুখে নয়, ভূক্তোভূগিরাও তার জন্য চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছেন। এখন এ অপরাধী বীরদর্পে সরকার বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মে যোগ দিয়ে কক্সবাজার শহরের অলিগলিতে অবাধে চলাফেরা করে যাচ্ছে এবং রীতিমতো ইউনুস সরকারের নানান সমালোচনাও করছে। যদিও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, এই সন্ত্রাসী সম্প্রতি কক্সবাজার সদরের দক্ষিন রুমালিয়ার ছড়া পূর্ব গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র হাসানুল হকের চেক জালিয়াতি করে ৩৫ লাখ টাকা দাবী করার প্রেক্ষিতে চাঁদাবাজ লুদুইয়ার বিরুদ্ধে গত ২০/১/২৫ তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজার সদরে একটি মামলা দায়ের করা হয়।উক্ত মামলার বাদী হাসানুল হক জানান, সন্ত্রাসী লুদুইয়ার বিরুদ্ধে অবশেষে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। যার মামলা নম্বর-১২৫/২৫।
[33717]
আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান সরকারের আমলে সমান তালে বিভিন্ন অপরাধ করার পরও এ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী লুদুইয়ার বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন তৎপরতা না থাকায় জনগনের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ২২ মামলার আসামি সন্ত্রাসী লুদুইয়ার খুঁটির জোর কোথায়? ভূক্তোভূগিরা সন্ত্রাসী লুদুইয়াকে জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।