প্রায় দুই বছর পর বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ দেবতাখুম ভ্রমণে যেতে পারছেন পর্যটকরা। দীর্ঘদিন পরে দেবতাখুমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় খুশি পর্যটনখাতে জড়িত ব্যবসায়ীরা। পর্যটকেরা আগের নিয়মে রোয়াংছড়ি থানায় নিজেদের পরিচয় লিপিবদ্ধ করে দেবতাখুম ঘুরে আসতে পারবেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক শামীম আরা এ কথা জানিয়েছেন। তবে থানচিতে এখনও যেতে পারবেন না পর্যটক। এখনও তিন উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
দেবতাখুম পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার দুর্গমে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতার কারণে ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেবতাখুম পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। এই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৮ অক্টোবর জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ৬ নভেম্বর জেলার চারটি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় বহাল রাখা হয়।
স্থায়ী ব্যবসায়ী অজয় তংচঙ্গ্যা বলেন, দেবতাখুমকে ঘিরে আমাদের ব্যবসা ও পরিবার চলে। দেবতাখুম খুলে দেওয়ায় বান্দরবানে পর্যটক অতীতের মতো সমাগম হবে।
দেবতাখুম থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পর্যটকদের আগের নিয়ম অনুযায়ী রোয়াংছড়ি থানায় নাম-পরিচয়, ফোন নম্বর লিপিবদ্ধ করে প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড সঙ্গে নিয়ে দেবতাখুমে যেতে হবে। এ বিষয়ে টুরিস্ট গাইড সমিতিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
রোয়াংছড়ির শুধু দেবতাখুমে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, দেবতাখুমে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে। নিরাপত্তার কোনো সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেবতাখুম থেকে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :