ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

গজারিয়ায় দিন-দুপুরে ডাকাতি: পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা লুট

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই লাখ টাকার বেশি ছিনতাই করেছে এক ডাকাত চক্র।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটায় কাঠ ব্যবসায়ী ইয়াজ উদ্দিন (৬০) ভবেরচর থেকে আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার পথে মোহাম্মদ আলী প্লাজার সামনে চার সদস্যের এক ডাকাত দল তার গতিরোধ করে। ডাকাতরা পিস্তল ঠেকিয়ে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার নাক থেকে গলা পর্যন্ত গুরুতর জখম করে।

ভুক্তভোগীর ছেলে শামীম জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ভবেরচর হাসপাতাল রোডের লক্ষ্মীপুর মোড়ে কাঠের ব্যবসা করে আসছেন। এতদিন কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে সোমবারের ঘটনায় তারা অত্যন্ত আতঙ্কিত। তিনি বলেন, "আমার বাবার সঙ্গে দুই লাখ টাকার বেশি ছিল, যা ডাকাতরা লুট করে নেয়। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, ঘটনাস্থলে বহু লোকজন উপস্থিত থাকলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।"

তিনি আরও জানান, ডাকাত দল মূলত ইয়াজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরির আঘাত করেছিল। তবে তিনি প্রতিরোধ করায় ছুরির আঘাত গলায় না লেগে নাকে লাগে। তার বাবা সম্ভবত ডাকাতদের একজনকে চিনতে পেরেছেন, তবে অসুস্থতার কারণে তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না।

ঘটনার পর এলাকাবাসী আহত ইয়াজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ইনসাফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ২টার দিকে তার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে পুনরায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তার নাকে অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে।

এ ঘটনায় ইয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস বেগম গজারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। "জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। ভিকটিমের বক্তব্য এখনো পুরোপুরি পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে," বলেন তিনি।

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি দেখা দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।