নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ২০২৪ সালে ৪ শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। জমি-জমা সংক্রান্ত সামাজিক সমস্যা, পারিবারিক,সাংসারিক ও স্থানীয়ভাবে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দ্বন্দ নিরসনে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি মাসে বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫০ থেকে ১ শত মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও আদালত থেকেও বিভিন্ন মামলা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে পাঠিয়ে তা সমাধান করা হয়, এতে করে কোর্টের বারান্দায় দিনের পর দিন হয়রানী ও আর্থিক ভাবে লাভবান হোন বাদী ও বিবাদী।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে উপজেলার সীমান্তবর্তী আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নে ছুটে যান ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সেখানে আর্থিক লেনদেন বিষয়ের একটি মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি এবং উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলা নিষ্পত্তি করায় ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাকসহ গ্রাম আদালতের সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানান তিনি।
[34035]
বিচারিক কার্যক্রমে ইউএনও এর উপস্থিতি এক ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়, এতে গ্রাম আদালতের প্রতি ইউনিয়ন বাসীর বৃদ্ধি পায়। এ সময় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাক ও আলহিল মাহমুদ চৌধুরীকে সাথে নিয়ে আগ্রাদ্বিগুন ও খেলনা ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি খাস পুকুরের নামফলক স্থাপন করেন।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বিকেল পৌনে ৫ টায় গ্রাম আদালতের কো-অর্ডিনেটর ধীমান দেবনাথের সঞ্চালনায় উপজেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে হিসাব-সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটরদের দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৪ সালের ফেব্রয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে মর্মে জানা যায়। সভায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও বেশি বেশি বেগবান করতে গ্রাম আদালতের বিষয়ে হিসাব সহকারীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং গ্রাম আদালতের শ্রেষ্ঠ মামলা গ্রহণকারী হিসেবে আড়ানগর ও আলমপুর ইউনিয়নের হিসাবসহকারীকে পুরস্কৃত করেন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান।