বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবৈধভাবে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে উপজেলার ১৫ থেকে ২০টি ডেন্টাল কেয়ার। এর মধ্যে পপি ডেণ্টাল কেয়ারে ডা. পপি রায় ও ডিজিটাল ডেল্টাল কেয়ার এন্ড ইনপ্লান্ড সেন্টারের সমীরন রায় বিডিএস পাশ করাসহ বৈধ কাগজপত্র থাকলে বাকীগুলোর কোন কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে।
তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার নিয়ম না থাকলেও তারা অহরহ লিখে যাচ্ছেন এন্টিবায়োটিক। এতে প্রতারিত হচ্ছে উপজেলার সাধারণ লোকজন। এতে অনেকের মুল্যবান দাঁত নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় জনগনের সাথে বছরের পর বছর প্রতারণা করে ব্যবসা চালিয়ে আসলেও কোন ভাবেই অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন।
নাম না প্রকাশ শর্তে একাধিক সচেতন নাগরিক বলেন, প্রশাসনের সাথে হাত করেই অবৈধভাবে ব্যবসা করছে ডেন্টাল কেয়ারগুলো। তাই জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ করে প্রতারণার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ১৫ থেকে ২০টি অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। উপজেলা সদরে আঁখি ডেন্টাল কেয়ার(দীপঙ্কর বেপারী), পপুলাল ডেল্টাল কেয়ার(পিয়ন্তী), ফ্যামেলি ডেন্টাল কেয়ার( রথিন্দ্র নাথ রায়),এনঞ্জেল ডেন্টাল কেয়ার(অঞ্জন দেউরী), হিউম্যান ডেন্টাল কেয়ার( পিন্টু বাড়ৈ), রয়েল ডেন্টাল কেয়ার( রেদোয়ান),গৈলা বাজারে সিটি ডেন্টাল কেয়ার( মাসুম), পপুলার ডেন্টাল কেয়ার( সঞ্জয় হালদার),বাগধা বাজারের বিসমিল্লাহি ডেন্টাল কেয়ার (ইমদাদুল হক), আস্কর বাজারের রেখা ডেন্টাল কেয়ার( সৈকত বাড়ৈ),পয়সাহাট বাজারের ইসমাইল ডেন্টাল কেয়ার( মিলন রায়),বাটরা বাজারের টুথ ফেয়ার ডেন্টার কেয়ার(বিভাস গাইন), হালদার ডেন্টাল কেয়ার (দিপংকর হালদার)সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ্য ডেন্টাল কেয়ার।
[34113]
ভুয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে বছরে একবার সিভিল সার্জন, ড্রাগ সুপার ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট দিন তারিখ জানিয়ে পরিদর্শনের আসেন। কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসলে প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেককেই পাওয়া যায় না।
এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নিয়ে গড়া “আগৈলঝাড়া প্যাথলজি ক্লিনিক ও ডেন্টাল এসোসিয়েশন”সংগঠনের মাধ্যমে চাঁদা তুলে কর্মকর্তাদের আপ্যায়িত করে তেল খরচের নামে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে তাদের বিদায় করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত অবৈধ ডেন্টার কেয়ার পরিচালকরা জানান, আমরা টুক-টাক কাজ করি। আর আমরাতো হালকা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডা.গোলাম মোর্শেদ সজিব বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ্য ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্তসহ তালিকার বাইরের অবৈধ ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে অবৈধ, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।