মুখোশ পড়ে বাসাবাড়িতে কিশোর দলের হামলা, আতঙ্কে স্থানীয়রা

মুখে মাস্ক পড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তার দুই পাশের বাসাবাড়িতে ভাংচুর করছে ৫০ জনের কিশোরদের একটি দল। এতে পুরো এলাকাটিতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বাসিন্দারা বাড়ির বিদ্যুতের বাতি বন্ধ করে বসে থাকলেও চারদফায় চলে এই হামলা৷

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডে সন্ধ্যার পর থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নগরের হরিকিশোর রায় রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পেছনের শিশু একাডেমি মাঠ থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে সেখানে একটি গ্রুপ বসে আড্ডা দেওয়ার সময় আরেকটি গ্রুপ সেখানে গিয়ে বসার জায়গা ছেড়ে দিতে বলে। এ সময় নগরের বাগানবাড়ি এলাকার মৃদুল করের সঙ্গে নওমহল এলাকার মো. শুভ্রর বাগবিতন্ডা হয়। এ সময় শুভ্রর বন্ধু স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফাহাদসহ অন্যরা দুই পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় মৃদুল মার খাওয়ার পর সেখান থেকে চলে গিয়ে নিজের গ্রুপকে সংগঠিত করে। সন্ধ্যার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফাহাদদের বাসার গলিতে হামলা করে। এ সময় ১৫ টি বাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেলে ভাংচুর চালানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আলী আশরাফ খান বলেন, টেবিলে বসা নিয়ে কিশোরগ্যাং দলটি হামলা করে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হামলা করা হয়। কিন্তু এখানের বাসিন্দার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ঘটনার পর বিএনপি নেতারা এসে আইশৃংখলা বাহিনীকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছে।

সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত দেখা যায়। ভাংচুরের চিহ্ন পুরো এলাকাজুড়ে। বাড়ির গেট, জানালার গ্লাস, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করা।

মালতি রানী ঘোষ নামে এক নারী জানান, বাচ্চাদের সামান্য ঝামেলা নিয়ে এলাকার বাসাবাড়িতে হামলা করা হয়। অন্তত ৫০ জনের দলটি ৪ দফা হামলা করে। বাড়ির বৈদুতিক বাতি বন্ধ করে খুব ভয়ে ছিলাম। এখনও খুব আতঙ্কে আছি।

দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা কোনো রাজনীতি করি না, কোনো ঝামেলায় যায় না। কেন আমাদের বাড়িঘরে হামলা করা হলো।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, টেবিলে বসা নিয়ে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। হামলায় অংশ নেওয়া কিশোর গ্রুপটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।