অল্প খরচে অধিক লাভজনক ও ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে পটুয়াখালীর দুমকিতে দিন দিন বাড়ছে সরিষার চাষ। এরমধ্যে হলুদ রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত। ফুল প্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেতগুলো।
হলুদ রঙের ফুলে ভরা সরিষা ক্ষেতের সাথে নববসন্তের রঙের হরেক পোশাক পড়ে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে মৌমাছি, প্রজাপতিসহ নানা জাতের কীটপতঙ্গের আনাগোনা ও মধু সংগ্রহের দৃশ্য আরো আকর্ষণীয় করে তোলে পুরো ক্ষেতজুড়ে। এরমধ্যে কোনো কোনো ক্ষেতে আগাম জাতের সরিষা পাকা শুরু করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মাত্র ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দুমকি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কৃষকরা আবাদ করেছে সরিষার। সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হেক্টর থাকলেও বাস্তবে তারচেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বিনামূল্যে সরিষা ও সার বিতরণ করা হয়েছে। বারি -১১,১৪ ও বিনা- ৮ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে বেশি।
দক্ষিণ মুরাদিয়ার কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোজ্যতেলের আকাশ চুম্বি দাম তাই নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রির জন্য এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশা করি বাজারেও বিক্রি করতে পারবো।
পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের কৃষক শাহজাহান মুন্সি জানান, এ বছর ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। আগাম জাতের বারি-১৪ সরিষার চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবারও ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করি। এছাড়াও সরিষার শুকনো গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে আগাম জাতের সরিষা সংগ্রহের পর ওই জমিতে তিল আবাদ করবো।
দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার প্রদর্শনী প্লট করে কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :