লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিদ্যালয়ের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ২১ দিন পর মরিয়ম আক্তার নিশা (১২) নামে সেই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিশা মারা যায়।
এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি উপজেলার পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
নিশা রায়পুর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের খোকা মিয়ার মেয়ে ও পূর্ব সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
[34270]
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবদুল্লাহ আল মামুন স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন বিদ্যালয়ের ছাদে খেলতে গিয়ে নিশা ও রাফসি দগ্ধ হয়। নিশার শরীরের ৯০ শতাংশ ও রাফসির ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে তখন চিকিৎসকরা জানান। পরে তাদেরকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিশা মারা যায়।
নিহত ছাত্রীর মামা আবদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় ঘেষে ৪৪ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার রয়েছে। এ কারণে পুরো বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আমার ভাগ্নিকে জীবন দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার চাই।
ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস দাবি করেছিলেন, ছাদে সবসময় তালা দেওয়া থাকে। কে বা কারা তালা খুলে দিয়েছে তা দেখিনি। ছাদের পাশ দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারটি থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
[34267]
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রীর মৃত্যুর খবর প্রতিবেদকের কাছে পেয়েছেন জানিয়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শফিউল আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলাম। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম এসেছে। এখনো তদন্ত চলছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে দায়ীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হতে পারে।