ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে রমজান উপলক্ষে মুদি ও কাঁচা মালের ব্যবসায়ীরা অল্প লাভে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। আবার কেউ কেউ লভ্যাংশ ছাড়াই বিক্রয় করে থাকেন। বিশেষ করে এমনটা আরব দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশি টপ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এমন উদ্যোগ না থাকলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে এমন উদ্যোগ দেখা যায়।
এদের মধ্যে একজন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মো. শাহ-আলম মাল। তিনি গত তিন বছর দরে রমজান উপলক্ষে স্বল্প ও বিনা লাভে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় করে থাকেন। সে ধারাবাহিকতা অব্যাহতি রাখতে তিনি বছরও এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
[34281]
উপজেলা পৌর এলাকার চরকুমিরা গ্রামের অবস্থিত তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (শাহ-আলম ষ্টোর) বিনা লাভে বিক্রির ষ্টোরটি উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তরুণ সংগঠক তারেক হোহেন তরুর পরিচালনায় শাহ আলম ষ্টোরের কর্ণধার মো. শাহ-আলম মালের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-ইমরান। ঢাকা কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ পৌরসভা যুবদলের সভাপতি ইমান হোসেন পাটওয়ারী, সমাজ সেবক সেন্টু মিয়া, চরকুমিরা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফাহিমুল ইসলাম ক্রেতাগণ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-ইমরান বলেন, রমজান উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অল্প লাভে ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ হিসেবে এমনা খুবই কম। কিছু কিছু ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা যদিও এমন উদ্যোগ নিয়ে থাকে। অন্তত রমজান উপলক্ষে বড় ব্যবসায়ীরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে সাধারন ক্রেতারা অনেক উপকৃত হবে।
[34279]
শাহ-আলম ষ্টোরের কর্ণধার মো. শাহ-আলম মাল বলেন, রমজান উপলক্ষে গত কয়েক বছর আমি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্টির জন্য। কারন বছরের বাকি ১১ মাস ব্যবসা করে থাকি। কমবেশি লাভ করে থাকি। রমজান উপলক্ষে একমাস লাভ না করলেও চলবে।
আমার এখানে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ছোলা, খেসারির ডাল, বেসন, মুড়ি, চিড়া, চিনি, খেজুর, সয়াবিন তৈল, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি প্রতিবছরের রমজান মাসে এধারা অব্যাহতি রাখতে পারি।