নতুন বছর শুরুর পর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো নতুন পাঠ্যবই হাতে পায়নি বরগুনার বেতাগী উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পড়া এগিয়ে নিতে বাধ্য হয়ে বিদ্যালয় থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ করে চলছে শ্রেণি কক্ষের পাঠদান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষষ্ঠ-সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২/৩ টা করে বই পেলেও এই উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোনো বই দেওয়া হয়নি।
শিক্ষকরা বলছেন, যেসব নতুন বই পাওয়া গেছে, সেগুলোতে ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি পুরাতন বই দেখে পড়াশোনা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে তারুণ্যের উৎসব ও বার্ষিক খেলাধুলার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই সব বই পাওয়া যাবে।
কম্পিউটার এবং ফটোকপির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকসহ কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা এসে নতুন বইয়ের পিডিএফ প্রিন্ট করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার টাকা বাঁচাতে প্রিন্ট করা পৃষ্ঠা ফটোকপিও করছেন।
এই উপজেলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ষষ্ঠ-সপ্তম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো শ্রেণিরই পাঠ্যক্রমের সব বই আসেনি। এ ছাড়া এই উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির একটি বইও শিক্ষার্থীরা পায়নি।
শিক্ষকরা পুরাতন বই দেখে পাঠদান করছেন। উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপক চক্রবর্তী বলেন, তিনটা বই পেয়েছি। অন্যান্য বইগুলো না পাওয়ায় পড়তে পারছি না। এভাবে সময় যেতে থাকলে পড়ালেখায় পিছিয়ে যাবো। এজন্য পরিবারের সদস্যরা পুরোনো বই পরিচিতজনদের কাছে খোঁজাখুঁজি করছে৷ কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মাসুদুর রহমান বলেন, ‘দশম শ্রেণির সব বইগুলো দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্য সব বই দেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :