ঢাকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ভালোবাসার গোলাপ ৭০ টাকা!

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বছরের একই দিনে পহেলা ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস। সেই সঙ্গে চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষা আর ভালোবাসার এই মাসে কদর বেড়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলের।

চুয়াডাঙ্গার খুচরা ফুলের দোকানগুলোতেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। একই দিনে দুই দিবস ঘিরে বাহারি পসরা সাজিয়েছে ফুলের দোকানগুলো। সঙ্গে বেড়েছে দাম। বেশি বেড়েছে ভালোবাসার প্রতীক গোলাপের দাম।

চুয়াডাঙ্গার ফাগুনের আগুনে ভালোবাসার প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হয়েছে দুই কেজি চালের দামে। প্রতিটি থাই গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। মাথায় পরার ফুলের রিং বিক্রি হয়েছে ১শ থেকে ২শ টাকায়। হাত তোড়ার দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ১ হাজার ২শ টাকা।

শুক্রবার সকাল থেকে জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর, দামুড়হুদা, জীবননগর, আলমডাঙ্গাসহ শহরের ফুলপট্টিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন ক্রেতারা। কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থী, কাপল থেকে শুরু করে মধ্যে বয়সি নারী-পুরুষেরাও ভিড় করেন ফুলের দোকানে।

জেলায় সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের গদখালী ও কালীগঞ্জ থেকে। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী ফুল ব্যবসায়ী বাদেও শহরের রাস্তার পাশে বসিয়েছেন অস্থায়ী দোকান। দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সব ফুল দিয়ে। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জীবসি, থাই গোলাপসহ নানা ফুলের সমাহারে।

জেলার সব ফুল মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ বিক্রি হয় ৫০-৭০ টাকায়, চীনা গোলাপ ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, থাই গোলাপ ১শ থেকে ১৩০ টাকা, মেরিন্ডি গোলাপ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, জারবেরা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, গ্লাডিওলাস ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০ টাকায়, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকায়, জিপসি ফুলের মুঠো ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। ফুল দিয়ে তৈরি মাথার রিং প্রতিটি ১শ থেকে ২৫০ টাকা, হাত তোড়া আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া পছন্দমতো তৈরি ফুলের তোড়া ও ক্রাউন পাওয়া যাচ্ছে ২শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়। 

ফুল কিনতে আসা মানিক বলেন, এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। ২ কেজি চালের দামে ১টা ভালোবাসার গোলাপ। কিছু করার নাই প্রিয়জনকে ফুল দিতে হবে। প্রিয়জন খুশি হলে আমিও খুশি হব।

ফুল ক্রেতা রবিন বলেন, এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। প্রতি পিস গোলাপ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। দাম বেশি হলেও কী করব, প্রিয়জনের জন্য তো নিতে হবেই।

দাম বেশি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ফুল ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, যশোরের পাইকারি ফুল আনতে অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সেখানে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর ফুলের দাম বেশি।