পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম

পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দিনব্যাপী নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে গোপালগঞ্জের পূর্ব কোটালীপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়টির প্রাঙ্গনে বেলুন উড়িয়ে শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি সিদ্দিকা বেগম।

অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. গোলাম কবির।

শতবর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. শুকদেব চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিসার্চ অনুবিভাগের মহাপরিচালক অরুন কুমার বিশ্বাস, বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাহবুবুল আলম, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক, শতবর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বনোজ কুমার মজুমদার, সাংবাদিক প্রশান্ত অধিকারীসহ সাবেক শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়টির কৃতি শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষক ও অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এর আগে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়টির শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিসার্চ অনুবিভাগের মহাপরিচালক অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, আজ থেকে শত বছর আগে শিক্ষাণুরাগী শশীভূষণ মধু আমাদের প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।এরপর শত বছরের অভিযাত্রা। আমরা এই বিদ্যালয় থেকে অনেকেই লেখাপড়া করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। কিন্তু আমরা আমাদের শিকড়কে ভূলে যাইনি। আজকে একটি বিশেষদিনে আমরা সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে মিলিত হয়েছি। এই দিনটি আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ। এসময় বিবেকানন্দ ঢালী, জিতেন্দ্র নাথ রায়, বঙ্কিম চন্দ্র বিশ্বাস, অনিল চন্দ্র মধু, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কুমুদ রঞ্জন বালাসহ প্রমুখ সাবেক শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করেন।

বিবেকানন্দ ঢালী বলেন, আমি অত্র বিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করি। পরবর্তীতে এখানেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দেই। প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করি। এই বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আজ এই অনুষ্ঠান আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অনেক পুরনো বন্ধুদের সাথে কয়েক যুগ পর দেখা হলো। সকলেই যেন শৈশব-কৈশরে ফিরে গেলাম।

এরপর বরেণ্যে সংঙ্গীত শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আরবি/জেডআর

Link copied!