ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পৃথক ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত- ২৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও কুমারখালিতে সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর কান্দিরপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৮জন আহত হয় আহতদের উদ্ধার করে  ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জামালপুর কান্দিরপাড়া গ্রামে বাড়ির জমি মাপার সময় লস্কর আলী ও জামরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজিত হয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে  উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে নাজির (৫০) ও তার দুই ছেলে ইমন (১৮), সুমন (৩০), মৃত জৌলুসের রবকুল (৩৫) ও রনজিত (৩১) এবং জামরুল ইসলামের ছেলে মিঠু (৩২) কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমনের অবস্থা আশংকাজনক।

দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, জামালপুর গ্রামে জমি জায়গা নিয়ে পরস্পর আত্মীয় দুই গ্রুপের
মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কশবা গ্রামে নৌকার তলা ছিদ্র করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, আদালত প্রমাণিক, তার ছেলে জিসান প্রমাণিক, তাহের প্রমাণিকের ছেলে রাজিব ও রাকিব, হাসেম সরদারের ছেলে শুভ, আজমতের ছেলে রাহিম, শহীদ কাজীর ছেলে ছালাম কাজী, মিজানুর রহমান মন্টু, বিল্লাল হোসেন, শহীদ হোসেন, মন্টু কাজী, ঝন্টু কাজী, জিন্দার শিকদার, সাইদুল শিকদার, সাজেদা খাতুন। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মন্টু কাজী গ্রুপের সঙ্গে আদালত প্রামাণিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। কাজী গ্রুপের লোকজন চাষাবাদের পাশাপাশি পদ্মা নদীতে মাছ ধরার কাজ করেন। নদীতে তাদের বেশকিছু ডিঙি নৌকা রাখা হয়। শনিবার দুপুরে প্রামাণিক গ্রুপের সালাম তাদের পাঁচটি নৌকার তলা ছিদ্র করে দেয়। সে সময় সালামকে ধরে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পরে ছেড়ে দেন কাজী গ্রুপের লোকজন। পরে সালাম দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটাসহ তার লোকজন নিয়ে কাজী পাড়ায় আসেন। সে সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।