চুয়াডাঙ্গায় পেকিন হাঁসে ভাগ্য বদল ১০ নারীর

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ০৮:৪০ এএম

চুয়াডাঙ্গায় পেকিন হাঁসে ভাগ্য বদল ১০ নারীর

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পেকিন হাঁস পালন করে ভাগ্য বদলে গেছে ১০ নারীর । গত তিন মাস আগে পিকেএসএফে’র অর্থায়নে ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে উপজেলার পারকৃষ্ঠ মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ঠপুর গ্রামের ১০ নারী পেকিন হাঁসের বাচ্চা নিয়ে পালন করে এখন তারা সফলতা অর্জন করেছেন।

গ্রামীণ আথসামাজিক উন্নয়নে হতদরিদ্র ক্ষুদ্র খামারি সদস্যকে পঞ্চাশটি করে পেকিন হাঁসের বাচ্চাসহ স্বল্প খরচে চিকিৎসাকালীন ঔষধ ও বিনামূল্যে ৫০ কেজি করে পোল্ট্রিফিড দেয় সংস্থাটি । এতে দরিদ্র খামারি হাঁস পালনে সফলতা ও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। বিনামূল্যে হাঁসের বাচ্চা ও খাদ্য পেয়ে খুশি সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পারকৃষ্ঠ পুর গ্রামের ১০ টি দরিদ্র পরিবারকে "সমন্বিত কৃষি ইউনিট" থেকে  আর্থিক স্বাবলম্বীকরণে খামারি সেবা প্রদান করে আসছে। ফ্রি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এভাবে পেকিন হাঁস পালনে অভাবের সংসারকে আলোকিত করা কঠিন কিছুই না।

পেকিন হাঁস পালনে সফলতার গল্পে রুবিনা খাতুন  বলেন, বিদেশি জাতের পেকিন হাঁস ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ৩-৪ কেজি পরিমান ওজন হয়। এ হাঁসের মাংস অধিক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। রোগব্যাধী কম হওয়ায় বাচ্চা পালনে মৃত্যু হার কম।

একই গ্রামের শরিফা খাতুন বলেন, পেকিন হাঁস পালনের জন্য মাচা পদ্ধতিতে একটি ছোট আকারে ঘর তৈরি করলে রোগব্যাধী কম হবে এবং হাসের যে পায়খানা সেগুলো জৈব সার হিসাবে জমিতে ব্যবহার করা যাবে । এই হাসঁগুলো দেশি হাসের মত না এরা দলবদ্ধভাবে থাকতে ভালোবাসে । এই হাঁস পালন করে পরিবারের একটা বাড়তি আয় হওয়ায় অনেক খুশি।

এ ব্যাপারে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সুফিয়ান বলেন, পারকৃষ্ঠ পুর গ্রামে বেশ কিছু নারীদের গবাদি পশুপালনে সহায়ক পদ্ধতি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় পরামর্শ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ জন নারীকে পেকিন হাঁসের বাচ্চা প্রদান করা হয়। এই হাঁস পালন করে তারা সফল হয়েছে। রোগ কম খাবার নিয়েও কোন চিন্তা নেই, তাই পেকিন হাঁস পালনে এই এলাকার নারীদের উদ্যোগটা এখন অনেক বেশি।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী মো. কামরুজ্জামান যুদ্ধ বলেন, আমরা চাই দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থিকভাবে মুক্তি লাভ হোক। পেকিন হাঁস পালনে বাচ্চা থেকে শুরু করে খামার তৈরিতে আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করা হয়। তাদের এ সফলতা ধরে রাখতে লাভ্যাংশসহ হাঁস পালনে খামার বড় করার চেষ্টা করছে অনেকেই। আমাদের নিজস্ব ডিভিএম ডাক্তারের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হয়।

আরবি/এসআর

Link copied!