চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ব্রোকলি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ মামুন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষে মামুনের মতো অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে এসএসিপি প্রকল্প কর্তৃক গ্রীণ ক্রাউন জাতের ব্রোকলি পুরো উপজেলায় ৩টি প্রদর্শনী নিয়ে ৫ একর জমিতে ১৫ জন কৃষক ব্রোকলি চাষ করেছেন। অন্যান্য সবজির তুলনায় ব্রোকলি ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
৫০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের দেয়া প্রদর্শনীতে ব্রোকলি চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক মোহাম্মদ মামুন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মিঠালার পূর্ব মলিয়াইশ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কৃষক মামুন নিজের চাষাবাদের প্রায় ৫০ শতক জমিতে ব্রোকলি চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে কোন কোন ব্রোকলির ওজন হয়েছে ৭০০-৮০০ গ্রাম। এসব ব্রোকলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ধরে। সাইজ অনুযায়ী দামের পরিবর্তন হয়।
মামুনের বাবা জয়নুল আবেদীন বলেন, ব্রোকলি চাষে উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে। বিক্রির দামটা যদি আরও বেশি পেতাম তাহলে আরও বেশি লাভবান হতে পারতাম।
মামুন জানান, গত বছর নিজেদের খাওয়া জন্য অল্প কিছু জায়গায় ব্রোকলি চাষ করেছিলাম। এতে আমার খুব ভালো ফলন হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনা করি। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদর্শনী পেয়ে ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদ করি। ফলন ভালো হয়েছে। এতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা। আশাকরি ৪০-৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, ব্রোকলির সাথে এখনকার মানুষ তেমন পরিচিত নয়। এতে অনেক সময় ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হয় না। তবে ভিন্ন হচ্ছে যারা ব্রোকলি সম্পর্কে জানে তারা দেখা যায় বিক্রির নির্ধারিত দাম থেকে বেশি দিয়ে কিনে নেন। সাধারণ মানুষ ব্রোকলির সাথে পরিচিত হলে আরও অনেক ভালো দামে বিক্রি করে দিগুণ লাভ করা সম্ভব। তিনি ব্রোকলির পাশাপাশি বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, কাঁচামরিচ, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন।
মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, ব্রোকলি একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে এন্টি ক্যান্সার উপাদান রয়েছেসহ বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
[34754
তিনি আরও বলেন, ব্রোকলি এখনও অনেকেই চিনে না, তারপরও এটার মোটামুটি চাহিদা রয়েছে। এটি চাষাবাদের পাশাপাশি বাজারজাতকরণ এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য মাঠ দিবস করছি। সেখানে এটা কেন খাবে, উপকারিতা সহ নানা বিষয়ে জনসম্মুখে আলোচনা করছি। আশাকরি আগামী বছর এর চাষাবাদের পরিমাণ আরও বাড়বে।