ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

তজুমদ্দিনে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭৩ ও স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ১৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। এতে শিক্ষার্থীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দেখা যায়, ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁশ আর কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে আর তা দিয়েই ভাষা শহীদদের স্মরণ করে।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪৪ টি। এর মধ্যে কলেজ ২টি, ডিগ্রি কলেজ ১টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ টি, দাখিল মাদ্রাসা ৭ টি, আলিম ৫ টি, ফাজিল ২টি, কামিল ১ টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০ টি। ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ১২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।

[33661]

এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহীদ মিনার না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন ও শহীদ দিবস সম্পর্কে জানে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জুয়েল বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষা শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শহীদ মিনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে শিক্ষা প্রশাসন, অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

[34870]

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তাই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার এখনো নির্মাণ করা হয়নি, এ বছরেই পিইডিপি-৫ প্রকল্পের আওতায় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) মো. রেজাউল করিম বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের সরকারি কোনো তহবিল নেই। তবে ভাষা শহীদদের প্রতি যথার্থ মর্যাদা দিতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি।