বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পুলিশ সদস্যকে লাঠিপেটা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পুলিশ সদস্যকে লাঠিপেটা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে মাদক কারবারির স্ত্রীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জেরে সোহেল রানা নামে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই এএসআইকে নগরের মতিহার থানার পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।

এএসআই সোহেল রানা রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত।

এ ঘটনায় একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন ওই নারী ও এএসআইকে নানা জেরা করছেন। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। ওই নারীকেও মারধর করা হয়। এ সময় নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ জেরার মুখে এএসআই বলেন, তার স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি কলমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদই হয়নি। ওই নারী বলতে থাকেন, স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এএসআই সোহেল রানা। তাকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার আগে অল্প বয়সী কয়েকজন লাঠি দিয়ে এএসআইকে পেটায়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, এএসআই সোহেল রানার ডিউটি ছিল রাতে। তিনি একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ডিউটি করতে মতিহার থানা এলাকায় গিয়েছিলেন। তারপর রাত একটার দিকে আটক হওয়ার খবর পেয়েছি। এখন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই হবে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এএসআই সোহেল এখনও মতিহার থানাতেই আছেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখেই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানা থেকে বলা হচ্ছে, তিনি ওই নারীকে অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলেন। তার ভাড়া নিতে গিয়েছিলেন।

আরবি/এসবি

Link copied!