বগুড়ায় আ. লীগের মশাল মিছিল: সাংবাদিক, বিএনপি নেতারাও আসামি

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

বগুড়ায় আ. লীগের মশাল মিছিল: সাংবাদিক, বিএনপি নেতারাও আসামি

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিলের ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় বিএনপি নেতা রিপন শেখ বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন ধুনট থানার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল আলম।

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ জি এম বাদশাহ, এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ তারেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান, গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটন, গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক দিনকালের ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বিপুলের নাম আসামি হিসেবে রয়েছেন।

মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে আসামিরা মশাল মিছিল বের করে। তখন আসামিরা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, হাতবোমা ও লাঠি নিয়ে বাদীকে আক্রমণ করেন। এ সময় তারা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

মামলার ৯ নম্বর আসামি ধুনট মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবং দৈনিক দিনকালের উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ইমন বলেন, কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলাম না। স্বাধীন সাংবাদিকতা করি। আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের বিষয়টি নিজে ওসিকে বলি। পরে আমার নিজস্ব অনলাইনে নিউজ ও ছবি আপলোড করি। এটা নিয়ে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আসামি করেছে।

বিএনপি নেতা সানোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, বাদীকে ম্যানেজ করে বিএনপির একজন নেতা এটা করিয়েছেন।

সাংবাদিক ইমন ও বিএনপি নেতা সানোয়ার উভয়েই আসামি করার জন্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর পাশাকে দায়ী করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে আবুল মুনছুর পাশার মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

গোঁসাইবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যদি বিএনপির লোকই মামলা করে তাহলে কোথায় দাঁড়াব আমরা? আমি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামি করার প্রতিবাদ জানিয়েছি।

গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আলী লিটনের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল না বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রিক্তা বেগম।

তিনি বলেন, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেল। অজ্ঞাত আসামি হিসাবে কয়েক বছর আগের মামলায় মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর বুধবার তাকে আরেকটি মামলায় জড়াল।

ওসি সহিদুল আলম বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপির এক কর্মী মামলা করেছেন। আমি তখন থানায় ছিলাম না। তবে মামলা তদন্ত করে দেখব আসলেই কারা জড়িত ছিল। অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা যাবে না।’

আরবি/এসআর

Link copied!