ঢাকা শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মানব-পুতুল নাচ দেখে মুগ্ধ হাজারো দর্শক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:১৯ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পুতুল নাচ যখন বিলুপ্তির পথে, তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একঝাঁক শিশু শিক্ষার্থী ‍‍`মানব-পুতুল‍‍` সেজে নাচ পরিবেশন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মধ্যেরচর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের পাঠের অগ্রগতির জন্য আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে ডিসপ্লেতে অংশ নেয় তারা।

এ সময় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ‍‍`মানব-পুতুল‍‍` সেজে ‍‍`এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া এত যত্নে গড়াইয়াছে সাঁই‍‍` গানের সঙ্গে নাচ প্রদর্শন করে।

এর আগে, সকালে বধূ সাজে মাঠে নামে একদল মানব-পুতুল। সংখ্যায় তারা ১০ জন। জানা যায়, অভিভাবক সমাবেশের অনুষ্ঠানে পুতুল সেজে নাচবে তারা। তাদের নাচ দেখতে আগে থেকেই হাজারো দর্শকের উপস্থিতি ছিল।

[35101]

ডিসপ্লে চলাকালে দর্শকদের মধ্যেও ছিল বেশ উচ্ছ্বাস। মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে মানব-পুতুলদের স্বাগত জানান তারা। পুতুল নাচের ব্যতিক্রমী এই ডিসপ্লে এলাকাজুড়ে বেশ আলোচনা জম্ম দেয়।

অনুষ্ঠান শুরুতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে শিশু বরণ, কেককাটা ও বাংলাদেশের মানচিত্র ফলক উন্মোচন করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।

এ সময় বিদ্যালয় সভাপতি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একে এম রুহুল আমিন।

ভৈরব উপজেলা শিক্ষা অফিসার ছিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোহাম্মদ মামুন,ও সানজিদা পারভীন। অত্র বিদ্যালয় স্হান দাতা সদস্য রাজিব মাহমুদ, পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

[35097]

নাচে নেতৃত্ব দেওয়া ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তারের ভাষ্য, ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ আমি কখনো দেখিনি। স্যার আমাদের তৈরি করেছেন। এই নাচে অংশ নিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি খলিল মীর বলেন, বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতি পুতুল নাচকে নবরূপ দিয়ে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা ছিলো। যেইটি দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিভাবক সহ সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার মান আরো উন্নয়ন করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশে অভিভাবকদেরও বেশি সচেতন হতে হবে। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সমস্যার কথা শুনেন। তিনি অভিভাবদের পরামর্শ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাদের পুতুল নাচ দেখে মুগ্ধ হন।

অভিভাবক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমেদ ভূইয়া।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায়, পুতুল নাচ শেষে, নিয়মিত স্কুলে আসা শিক্ষার্থী ও সেরা মা হিসেবে নির্বাচিত হওয়া অভিভাকদের সম্মাননা প্রদান করেন অতিথিরা।