মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে একুশের প্রথম প্রহরে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রয়ারি) রাত ১২ টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা ,পুলিশ সুপার জাহিদুর রহমান শেখ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি),পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জন্য শহীদ মিনারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
[35106]
১৯৫২ সালের ভাষা শহীদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষা পেয়েছি। তাদের ঋণ কখনো ভুলবো না। আমরা যারা একুশে ফেব্ররুয়ারি দেখিনি, মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, আজকের এই দিনটি একুশের চেতনা আমাদের মধ্যে ছাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেশের মানুষকে ভালবাসতে শেখায় দেশের চেতনাকে ভালবাসতে শেখায় জাতীয় পতাকাকে ভালবাসতে শেখায়। তাই আমরা আজকে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছি।
[35110]
তবে প্রতি বছর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হলেও এবার জেলা প্রশাসন শেষ সময়ে ভেন্যু পরিবর্তন করায় জেলা আইনজীবী সমিতি সহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ বিপাকে পড়ে।