ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পিকআপ ড্রাইভারের সহযোগীতায় দেশীয় অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক শকড মেশিনসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টায় উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের আমপাথারী গ্রামে তাঁদের আটক করে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটককৃতরা হলেন-ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভেলাজান নদীপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে আল আমিন হোসেন (২৩), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়মহল নেন্দপাড়া গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৪) ও পীরগঞ্জ থানার জগথা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা আলম অরফে লিটন (২৭)।
ডাকাতদের ধরতে সহযোগিতাকারী পিকআপ ড্রাইভার মফিয়ার রহমান রংপুর মেট্রো থানার কবিরাজপাড়ার মকলেসার রহমানের ছেলে।
পিকআপ ড্রাইভার মফিয়ার রহমান বলেন, আমাকে পীরগঞ্জের সোহেল রানা নামে একজন ফোন দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে। সে আমাকে বলে আমার গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাবে।
আমি পীরগঞ্জ থেকে তাদের ৪ জনকে সাথে নিয়ে ঠাকুরগাঁও হয়ে বালিয়াডাঙ্গীর সড়কের দিকে আসার সময় ভেলাজানে তাদের আরও দুজন গাড়িতে উঠার সময় একজনের পিছনে দেশীয় অস্ত্র রামদা দেখতে পাই।
তখন আমি ভয় পাই এবং ভাত খাওয়ার কথা বলে বালিয়াডাঙ্গীর ডাঙ্গী বাজারের হোটেলে তারা ৬ জনসহ একসাথে খাইতে যাই।
ওরা খেতে বসলে আমি হোটেলের মালিককে গিয়ে সব বলে তার সহযোগিতা চাইলে সে আমাক বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক কে দেখায় দেয়। তখন তাকে আমি সব কিছু বললে সে আমাকে সহযোগিতা করবে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আমাকে তার সাথে (আঃ রাজ্জাক) এর সাথে কথা বলতে দেখে তারা সেখান থেকে চলে আসে এবং আমাকে কল দিয়ে বালিয়াডাঙ্গী তেল পাম্প যেতে বলে।
তখন আমি রাজ্জাক ভাইকে বললে তিনি আমাকে যেতে বলেন এবং উনারা আমার গাড়ি (পিকআপ) এর পিছন পিছন আসেন।
একটু পরে তারা (ডাকাতরা) আমাকে কাচকালী বাজার ও আমপাথারী যেতে বলে। সেখানে ফাঁকা জায়গায় আমাকে আটকিয়ে আমার গাড়িটা নিয়ে তারা (ডাকাতরা) পালিয়ে যেতে চাইলে তখনি রাজ্জাক ভাইসহ তাদের লোকজন তিনজনকে আটক করে আর বাকি তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটক করার সময় তাদের কাছে একটা রামদা ও ইলেকট্রনিক শকড মেশিন পাওয়া যায়।
এসময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি`র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আক্তার সবুর, ভানোর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাসেল, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস আলী হৃদয়সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টায় ডাকাতদের ধরতে সক্ষম হয়।
তারা বলেন, কিছুদিন থেকে এলাকায় ছিনতাই খুব বেড়ে গেছে তাই আমরা সজাগ ছিলাম এবং আজকে আমরা ৩ জনকে ড্রাইভারের সহযোগিতায় ধরতে পারি। আমরা প্রশাসনকে এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর টিএম মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় প্রশাসনকে সবরকমের সহযোগিতা করছি এবং এলাকার নিরাপত্তার জন্য আমাদের দলীয় লোকজন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং যারা ডাকাতদের ধরিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় আটককৃত ডাকাতদের দস্যু চেষ্টা মামলা দিয়ে চালান দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ডাকাতদের ধরতে সহযোগিতা করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।