নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল পশ্চিমপাড়া এলাকায় ৩৫ বছর আগে বাবার কেনা জমি রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় এখন তা খাস খতিয়ানে। ওই জায়গায় হতে যাচ্ছে পিপরুল ভূমি অফিস। এবিষয়ে প্রশাসন উচ্ছেদ করতে চাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন দুটি পরিবার। মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রী ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ মোট ১১ জন সদস্যের পরিবার।
ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদিন ও আনোয়ার হোসেনের পরিবার এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফ্রেবুয়ারি) তাদের দুই পরিবারের জন্য জমি পত্তন বা পরিবারের ১১ জন সদস্যের জন্য আশ্রয়ের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বরাবর আবেদনও করেছেন।
[35308]
আবেদনে আনোয়ার হোসেন ও জয়নাল আবেদিন জানান, ১৯৮৯ সালে তার বাবা সেকেন্দার আলী স্থানীয় অপুর্ব মৈত্রর কাছ থেকে সাড়ে ১০ শতক জমি কেনেন ১৫ হাজার টাকায়। জমির কিছু কাগজপত্র ঠিক করেই করে দেবেন এমন আশ্বাসে থাকতে থাকতে হঠাৎ ১৯৯৪ সালের দিকে স্বপরিবারে ভারতে চলে যান অপূর্ব মৈত্র।
এরপর থেকেই অপূর্ব মৈত্রর চাচাতো ভাই কাজল মৈত্ররা ওই জমি দখলে বার বার চেষ্টা করলেও স্থানীয়দের মধ্যস্থ্যতায় তারা দুই ভাই পরিবার নিয়ে ওই জায়গাতেই বসবাস করছিলেন। হঠাৎ উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই জমি খাস দাবী করে তাদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন ১১ সদস্যর ওই দুই পরিবার। ওই জমিটিতে পিপরুল ইউনিয়ন ভূমি অফিস করা হবে বলে কাজ শুরু করা হয়েছে। জমি তাদের পত্তন দেওয়া অথবা তাদের দুই পরিবারের জন্য সরকার আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা রেদওয়ানুল হালিম জানান, সরকার তার জমি নিয়ে নিবে, ওখানে ইউনিয়ন ভূমি অফিস করবে, নলডাঙ্গা-পিপরুল ইউনিয়নের সবার উপকার হবে। উনাদের দ্রুত মালামাল নিয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে, অন্যথায় আমরা বাড়িঘর ভেঙ্গে পরিস্কার করে দিবো। ওখানে থাকার মত কোন অধিকার তাদের নাই।
[35304]
সোমবারে আমরা ওখানে ভিজিটে যাবো তারপর ৭ দিন সময় দিবো। এর মধ্যে স্থানটি তাদের ছাড়তে হবে। ঠিকাদার আরও দ্রুত কাজ করতে চাইছিলো। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সময় দেওয়া হইছে। উনারা আবেদন করলে অন্য যেখানে খাস জায়গা আছে সেখানে আমরা বন্দোবস্ত দিবো।