বগুড়ায় শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে সৎ পিতা। ১০ বছর বয়সী শিশুর মা ছামিয়া আক্তার আইভী (২৯) বাদী হয়ে সদর থানায় তার ২য় স্বামী আশরাফুল আলমের নামে একটি ধর্ষনের চেষ্টা মামলা করেন।
মামলা’র এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছামিয়া আক্তার আইভি তার প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হবার পর কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানাধীন মল্লীকবেগ এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে আশরাফুল আলমকে বিবাহ করেন। তারই সুবাদে বগুড়া সদরের ঠনঠনিয়া কাইয়ুম আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ছামিয়া আক্তার আইভী’র প্রথম পক্ষের ১০ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ছামিয়া আক্তার আইভী তার মেয়েকে বাসায় রেখে বাহিরে যান। সেই সুযোগেই আশরাফুল আলম তার সৎ সন্তানকে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
[35333]
মামলার বাদী ছামিয়া আক্তার আইভী জানান, তার স্বামী আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাসায় দেহ ব্যবসা করে আসছিলেন। ঘরের ভিতরে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে বিভিন্ন মানুষের ভিডিও ধারণ করে, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দ্বারা তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো এবং ব্ল্যাকমেইল করতো। এর বাধা দেওয়াই আমাকে প্রচন্ড মারধর করে, আমার পেটে বাচ্চা থাকায় অসুস্থ হয়ে যাই। ঔষধ আনার জন্য আমি বাহিরে গেলে আমার মেয়েকে একা পেয়ে সে এই কাজ করে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম মঈনুদ্দিন বলেন, থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা হয়েছে। আসামি ফেরারি। সে যেখানেই যায় সেখানেই বিবাহ করেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আসামিকে অতি শিগগিরই আইনের আওতায় নিয়ে আশা হবে।