২১ বছর ধরে ভাত খান না দুর্লভ মহাদেব

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

২১ বছর ধরে ভাত খান না দুর্লভ মহাদেব

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে শিব সাধনায় মহাদেবের তুষ্টিতে ২১ বছর ধরে ভাত খান না দুর্লভ মহাদেব (৭৯)।

বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার শান্তিপুর মধুরপুকুর নামে শ্মশান ঘাটের এক কোণে গড়ে তুলেছেন ছোট শিব মন্দির। বিভিন্ন এলাকা থেকে শিবের এই অকৃত্রিম ভক্তকে দেখতে ছুটে আসেন অনেকেই। নিয়ে আসেন শিবের জন্য প্রসাদ স্বরুপ ফল। শিবের পূজা শেষে ওই ফলই খেয়ে বেঁচে আছেন দুর্লভ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর পাড়ের নির্জন এক শ্মশান ঘাটে ভূতুড়ে বাড়ির সামনে শিবের সাজে, পায়ে খরম হাতে ত্রিশূল কপালে চন্দন, পড়নে পশুর চামড়া পড়ে দাঁড়িয়ে আছে শিব ভক্ত দূর্লভ।

এলাকাবাসীরা জানান, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে শিবের নামে মেলার আয়োজন করেন দুর্লভ। ইহকালের জীবনের সুখ শান্তি বিলাসিতার জীবন ত্যাগ করেছেন তিনি। পরকালের প্রতি বিশ্বাস রেখে শিবের প্রতি আরাধনা করেন। তার বিশ্বাস শিব একদিন তার সঙ্গে কথা বলবে ও তাকে বর (উপহার) দেবে। শিবের দর্শন পাওয়ার জন্যই তার এই আরাধনা।

বাড়িঘর ও পরিবারে মায়া ত্যাগ করে নির্জন পুকুর পাড়ে ছোট একটি ঝাপড়ি বাসায় শিব লিঙ্গ স্থাপন করেছেন দুর্লভ মহাদেব। পরকালে শান্তি লাভের আশায়, পূজা অর্চনা করেই জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ইচ্ছা তার।

দুর্লভ মহাদেব জানান, মহাদেবের তুষ্টিতে শিবের সাধনায় জীবন সঁপে দিয়েছি ২১ বছর ধরে ভাত খাই না, শিবের প্রসাদ খেয়েই বেঁচে আছি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র নাথ বলেন, দুর্লভ বাবুর এই সাধনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরকালের শান্তি লাভের আশায় যে কেউ এই সাধনা করতে পারেন, আমাদের হিন্দু শাস্ত্রে এ ধরনের সাধনা করার বিধান রয়েছে। অবশ্যই এটি একটি ভালো কাজ।

আরবি/এসআর

Link copied!