ঢাকা রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ফাগুনের বৃষ্টিতে কৃষকের স্বস্তি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ফাগুনের ঝরা বৃষ্টি, স্বস্তি নিয়ে এসেছে উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামের চাষিদের মাঝে। জেলাজুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস বয়ে গেছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি, পরে বাতাসসহ  বৃষ্টি হয়।

এদিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। বৃষ্টিতে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন বিপাকে পড়েন। তবে ফাগুনের এই বৃষ্টিতে ধান, গম, ভুট্টা, আলু, আম, শাকসবজি সহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে। বৃষ্টি খানিকটা আর্শীবাদ হয়ে এসেছে। সেচের জন্য অবিরাম তোলা পানির ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে। তাই ফসলের ভালো ফলনের আশা চাষিদের।

জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের আজগার আলী নামের এক কৃষক বলেন, ফাল্গুনে বৃষ্টি হওয়া ফসলের জন্য খুবই উপকারী। এ সময়ের বৃষ্টিতে ধান, গম, ভুট্টা সহ সব ধরনের ফসলের ভালো ফলন আশা করা যায়। এই বৃষ্টির পানিতে কৃষকের সার ও সেচের খরচ কিছুটা হলেও কমবে।

কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার রিকশা চালক আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ। তারমধ্যে বৃষ্টিতে শহরের রাস্তা ফাঁকা, যাত্রী সংখ্যাও অনেক কম। ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টিতে বিপাকে পরে গেলাম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ফাল্গুনের এই বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের মাঠে থাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে। এই সময়টা নদী নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে পানির সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে চরের কৃষকরা চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পরেন। সেই কারণে এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য উপকারী। একইসঙ্গে ফসলের ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ফসলের জন্য উপকারী।