বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির মহাসচিব ইশতিয়াক আবেদীন বলেছেন, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এতো সুন্দর হবে সেটা ধারনার বাইরে ছিল। পাহাড়ের ঢালে প্রাকৃতিক সৌন্দের্যে ভরা এতো নান্দনিক ক্যাম্পাস ঢাকা কেন ঢাকার বাইরেও কল্পনা করা যায় না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা স্টুডেন্ট আছে তারা সত্যিই অনেক লাকি। অদূর ভবিষ্যতে বেসরকারি উচ্চ শিক্ষায় সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিবে।
তিনি আরো বলেন, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে না আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের অনেক নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে অনেক এগিয়ে গেছে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ এবং ফল ২০২৪ সেমিস্টারে শিক্ষাক্রম সম্পন্নকারি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে পড়ালেখার শেষ নাই। এটা একটা বিশাল জগৎ। যারা নতুন ভর্তি হয়েছো তাদের সুস্বাগতম এবং বিদায়ীদের জন্য শুভ কামনা রইলো। তোমরা চাইলে সিসিএন এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও বিচরণ করতে পারো কারন সে সুযোগ তোমাদের আছে। ইংরেজীকে অনেকেই ভয় করে, ভয় করলে হবেনা। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. শাহ্জাহান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচারক প্রশাসন (অবৈতনিক) মো. ইফতেখারুল ইসলাম সিয়ামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন-ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, ফেনী বিশ্ববিদ্যালযের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রইস কায়জার, মেম্বার সেক্রেটারি ড. এ এস এম টি উল্লাহ চৌধুরী বায়জীদ, এপিউবি এর পরিচালক বেলাল আহমেদ, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. জামাল নাছের, লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, আইকিএসি পরিচালক ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বানানো বিভন্ন পিঠা স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা। পরে বিকেলে দেশের টেলিকম কোম্পানীর সৌজন্যে সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন গায়িকা তাসনিম আনিকা। শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে উল্লাস করে দিন উদযাপন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :