পিঠার নাম মুগ পাকন, বউ সুন্দরী, শামুক পিঠা, তিলের পুলি, হৃদয় হরণ, গোলাপ পিঠা, পাক্কন, চিকেন কিমা, ছেলেদের মন, জামাই পিঠা, শাহী টুকরা, ক্ষীর পাটিসাপ্টা, কামরাঙ্গা পিঠা, দুধ চিতই, নুনিয়া পিঠা, দুধ পুলি, ঝাল পিঠা, ফুল পিঠা, মাছের কিমা পিঠা, ফিরনী কি নেই পিঠা উৎসবে। এ যনে বাঙালির হারিযে যাওয়া পিঠার অনন্য সংগ্রশালা।
ঐতিহ্য আর আধুনিকার মিশেলে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণে এ যেন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উনন্দ-উৎসবের অনন্য প্রয়াস।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্তবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হাজারো পিঠা নিয়ে প্রায় ২০টি স্টল রাঙিয়ে তুলে পুরো ক্যাম্পাসকে। স্টলের নাম ছিল পিঠা বিলাস, উকিলবাড়ি পিঠাঘর, মাটির ঘ্রাণ;পিঠার টান, বাসন্তী পিঠালয়, বাঙালির রস রঙ, নবান্ন, বসন্তের ফুলঝুুর, চন্দ্রপুলি পিঠালয়, ক্ষুদা লাগছে, চারুদ্বীপ ইত্যাদি আকর্ষণীয় সব নাম। শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা বাসন্তি শাড়ি, ছাত্ররা পড়েছেন রঙিন পাঞ্জাবী। কুমিল্লার কোটবাড়ি লালমাটির পাহাড় ঘেরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছিলো অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যতিক্রম। পুরো ক্যাম্পাস সেজে উঠেছে বিদায়-বরণ, বসন্ত বরণ, পিঠা উৎসব আর মনমাতানো সাংস্কৃতিক পর্বে। ২৩ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ এবং ফল ২০২৪ সেমিস্টারে শিক্ষাক্রম সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির মহাসচিব ইশতিয়াক আবেদীন। তিনি বলেন, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এতো সুন্দর হবে সেটা ধারনার বাইরে ছিল।
পাহাড়ের ঢালে প্রাকৃতিক সৌন্দের্যে ভরা এতো নান্দনিক ক্যাম্পাস ঢাকা কেন ঢাকার বাইরেও কল্পনা করা যায়না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা স্টুডেন্ট আছে তারা সত্যিই অনেক লাকি। অদূর ভবিষ্যতে বেসরকারী উচ্চ শিক্ষায় সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিবে। তিনি আরো বলেন, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে না আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের অনেক নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে অনেক এগিযে গেছে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, জীবনে পড়ালেখার শেষ নাই। এটা একটা বিশাল জগৎ। যারা নতুন ভর্তি হয়েছো তাদের সুস্বাগতম এবং বিদায়ীদের জন্য শুভকামনা রইলো। তোমরা চাইলে সিসিএন এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও বিচরণ করতে পারো কারন সে সুযোগ তোমাদের আছে। ইংরেজীকে অনেকেই ভয় করে, ভয় করলে হবেনা। আত্ববিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. মো: তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো: শাহ্জাহান। বিশ্ববিদ্যালয়েল পরিচারক প্রশাসন (অবৈতনিক) মো: ইফতেখারুল ইসলঅম সিয়ামের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমান, ফেনী বিশ্ববিদ্যালযের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রইস কায়জার, মেম্বার সেক্রেটারি ড. এ এস এম টি উল্লাহ চৌধুরী বায়জীদ, এপিউবি এর পরিচালক বেলাল আহমেদ, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো: জামাল নাছের, লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, আইকিএসি পরিচালক ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক মো: মনিরুজ্জামান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তিতে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। শিক্ষার্থীদের বানানো বিভন্ন পিঠা স্টল পরিদর্শন করেন অতিথিরা। পরে বিকেলে দেশের টেলিকম কোম্পানীর সৌজন্যে সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী তাসনিম আনিকা। শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে উল্লাস করে দিনটি উদযাপন করেন।