ঢাকা সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

৭ বছরেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের সিংড়ায় ঠিকাদারের অবহেলায় ৭ বছরেও কাজ শেষ হয়নি সিংড়ার ঢাকঢোর-মোহনপুর সড়কের। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। সড়কটি নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার পলাতক থাকায় কাজে অগ্রগতি নাই।

সিংড়া উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ঢাকঢোর পাকা সড়ক থেকে মোহনপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৫০ মিটার সাবমার্সিবল সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এ সময় ঢাকঢোর-মোহনপুর সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল খয়ের প্রামাণিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ড. নূর আহমেদ শেখ, শিক্ষক আলী রেজা, সাইফুল বারী, কৃষক মকবুল হোসেন, জালাল উদ্দিন, ব্যবসায়ী মহসিন আলী, নার্গিস বেগম, মর্জিনা খাতুন, আইয়ুব আলী, আবুল কাশেম, শিক্ষার্থী রায়হান আলীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় ও অফিস সূত্রে জানা যায় , ২০১৮ সালে সড়কের কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। কাজটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সোহেল রানা বলেন, রাস্তার মূল ঠিকাদার নাটোরের আমিরুল ইসলাম জাহান। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় বাইরে আছে এবং অর্থ সংকটে কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজটি করার চেষ্টা চলছে।

কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) রহমত আলী বলেন, ১ হাজার ৫৫০ মিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ১ হাজার মিটার হয়েছে। বাকি ৫৫০ মিটারের কাজ ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদার পলাতক থাকায় সমস্যা বাড়ছে। শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া, পাথর ও সিমেন্ট নেই। বিভিন্ন সামগ্রীর সংকট থাকায় ম্যানেজার কাজ শেষ করতে পারছেন না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম জাহান কে একাধিকবার কল দিলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।

সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকার কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি, এখন বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাজের বিল পরিশোধ করা হয়নি। কাজ সঠিক ভাবে শেষ হলে ঠিকাদারকে বিল দেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।