হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল শ্রমিকের পক্ষ নিয়ে কয়েক গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এ সময় দু’টি ট্রলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এডিএম মাইদুল হাসান বলেন, বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল শ্রমিকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
-20250223125006.webp)
স্থানীয়রা জানান, সিএনজি স্ট্যান্ডে নতুন চালক গাড়ি নিয়ে এলে সমিতিতে ৮ হাজার ৫শ’ টাকা করে ভর্তি ফি দিতে হয়। গত ৮/১০ বছরে প্রায় ১৭ লাখ টাকা সমিতিতে জমা হয়। সমিতির সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাছুম তালুকদার। আর দেখভাল করেন মালিক সমিতির সভাপতি আলিমুল চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে সমিতির হিসাব দেয়া নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে শ্রমিকরা পৃথক আরও একটি সমিতি করেন। ওই সমিতির মালিক পক্ষের সভাপতি করা হয় ইলিয়াস মিয়াকে। এরপর থেকেই দু’টি বিরোধ লেগে রয়েছে। একাধিকবার তাদের মধ্যে হামলা সংঘর্ষ হয়। কয়েকবার সালিশ বিচারে তা সমাধানও হয়।
রোববার ফের দু’পক্ষ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাদের পক্ষে আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকা, নগর গ্রাম, শিবপাশা, পশ্চিমভাগসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে এসে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে উল্লেখিত সংখ্যক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আরব আলীকে (৭০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং মোতালিব (৪৬), লুৎফুর (৫২), রায়হান (২০), জাফর (৩৫), দিলোয়ার (৩১), আল আমিন (৩০), বিনু (৪৪), রফিকুল (৪৬), সাদেক (৪৫), ফজলু (৪৩), আবুল (৩০), ইলিয়াসকে (৫০) আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
