সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) নিজ এলাকায় যাওয়ায় পথে পথে সংবর্ধিত হয়েছে। এ সময় আলেচিত এই নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করতে নির্মাণ করা হয় ছবি সম্বলিত তোরণ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা, ত্রিশাল, সদর, তারাকান্দা ও গৌরীপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি স্পটে এসব সংবর্ধনার আয়োজন করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারাকান্দা উপজেলার কাশীগঞ্জ বাজারে তোরণ নির্মাণ ও আনন্দ মিছিল করে লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা।
এর আগে ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার পর ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকায় মদন থানা বিএনপি এবং বাইপাস মোড় এলাকায় ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে যুবদল নেতাকর্মীরা লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী নেত্রকোনা সড়কে শুভেচ্ছা জানান সাবেক উপজেলা চেয়ারমান ও উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রেখে কারাবন্দি বিএনপি নেতা রিয়াদুজ্জামানের কারামুক্তির বিষয়ে আইনী সহযোগীতার আশ্বাস দেন বাবর।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, দল এবং দেশের জন্য লুৎফুজ্জামান বাবরের ত্যাগ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং অনুকরণীয়। ফ্যাসিষ্ট সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েও তিনি কখনো ভেঙ্গে পড়েননি। কারামুক্ত হওয়ার পর প্রথমবার তিনি তাঁর নিজ এলাকায় ফেরার খবরে পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তাকে বরণ করতে নির্মাণ করা হয়েছে সুসজ্জিত তোরণ।
দলীয় সূত্র জানায়, বিকালে লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা সদরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে রাতেই তাঁর নিজ বাড়ি নেত্রকোণা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের মদন উপজেলার ভাদেরা গ্রামে যাবেন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি খালিয়াজুরী উপজেলা এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি মোহনগঞ্জ উপজেলায় জনসমাবেশে যোগ দিবেন। এছাড়াও ৩ দিনের এই সফরে তিনি নেত্রকোনা জেলার সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
সূত্রটি আরও জানায়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ ট্রাক অস্ত্রসহ অসংখ্য মামলায় দন্ডিত করে লুৎফুজ্জামান বাবকে কারাগারে আটকে রাখে। অবশেষে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তবর্তী সরকার চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি টানা ১৭ বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি লাভ করেন।
সংসদ নির্বাচনী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মো. লুৎফুজ্জামান বাবর ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। তবে ওই বছরই ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আপনার মতামত লিখুন :