খুলনা মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, কুয়েটে গুপ্ত সংগঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঢুকে গেছে। তারা কুয়েটের ভিসিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। টানা তিন দিন কর্মসূচির নামে তারা ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
ওই শিক্ষার্থীদের হাতে অনেক শিক্ষকও লাঞ্ছিত হয়েছেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করা সবার অধিকার। কিন্তু কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসিকে লাঞ্ছিত করে কি
বার্তা দিচ্ছেন। যারা আগামী দিনে দেশের সু-নাগরিক হবার দাবি করছে, তারা কিভাবে আইন হাতে তুলে শিক্ষকদের ওপর হামলিয়ে পড়ল সেটা ভাববার বিষয়। তারা কি শিক্ষার্থী না অন্য কিছু সেটি এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে দাবি-দাওয়া নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তারা এখনও ভিসির ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেনি। উল্টো তারা ভিসিকে অপসারণের দাবি চালাচ্ছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে ভিসিকে টার্গেট করে সবকিছু করা হচ্ছে। তাই কুয়েটে হামলার ঘটনাটি পকিল্পিত। যার পেছনে নেতৃত্ব দিয়েছে গুপ্ত সংগঠন।
এই গুপ্ত সংগঠন কৌশলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানার ব্যবহার করেছে। কুয়েট ক্যাম্পাসে এখনও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কমিটি বহাল রয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন আরওবলেন, ছাত্রদল ও বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। সেই ঘটনায় কুয়েট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
ইতিমধ্যে গুপ্ত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় মারাত্মক আহত খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা
আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার ও বিএনপির সর্মথক শফিকুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অসুস্থাবস্থায় কারাগারে প্রেরণ করেছে যা রীতিমত নিন্দনীয় ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
তিনি বলেন, বিএনপি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে কেএমপি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :