ঈশ্বরদীতে অপহরণের একদিন পর মকসেদ আলী (৪২) নামে এক মৎস্য খামারিকে অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শহরের আলহাজ্ব মোড় বাঁশবাজার সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটের তিন তলার কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মকসেদ আলী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। আস্তানায় খামারিকে আটকে রেখে মারধর, অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও মুক্তিপণের দাবির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এরা হলেন শহরের মধ্য অরণখোলা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা (৩৮), তার ছেলে শাহরিয়া ইসলাম রাতুল (২০), মধ্য অরণখোলা আলহাজ্ব ক্যাম্পের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) ও সলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের মৃত রানা প্রামাণিকের ছেলে সজীব হোসেন (২০)। আটকের পর মুক্তিপণ দাবি ও অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, মকসেদ আলী পেশায় মৎস্য খামারি। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে আলহাজ্ব মোড়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন।
দুপুর আনুমানিক ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে খামারির এক আত্মীয় ফোনে জানায়, অজ্ঞাতনামা কতিপয় দূষ্কৃতিকারী মৎস্য খামারি মকসেদ আলীকে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে তারা। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের পরপরই পুলিশ অপহৃত মৎস্য খামারিকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে শহরের আলহাজ্ব মোড় জনৈক আতিকের ফ্ল্যাটের তিন তলার একটি কক্ষ থেকে মৎস্য খামারিকে উদ্ধার করা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :