ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শ্বাশুড়ির কাছ থেকে প্রতারণা করে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাতা সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা খাতুনের নিজ নামে সাড়ে ১৭ শতাংশ জমি ছিলো। যার দাং নাম্বার ৫৯৮,৬০৪,৬০৩। উক্ত দাগ নাম্বারের জায়গা আনোয়ারার ছেলে-মেয়েকে সমবন্টন হারে লিখে দেওয়ার কথা বলে নিজের স্ত্রী জয়তুন্নেছার নামেই ৮ শতাংশ জমি লিখে নেন প্রতারক জামাতা সোহাগ মিয়া। বিষয়টি জানাজানি হলে আনোয়ারা খাতুন আইনের আশ্রয় নেন। এবং তিনি দলিল পন্ড চেয়ে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার সহজ সরল একটা মাত্র ছেলে ও ছয় মেয়ের মা আমি। দীর্ঘ আঠার মাস ধরে অসুস্থ স্বামীর সেবা করে যাচ্ছি। আমি নিজেও অসুস্থ্য। এই অবস্থায় আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে আমার মেয়ের (জয়তুন্নেছার) জামাই সোহাগ মিয়া বাড়ির সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে জয়পুর মৌজায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার জমি লিখে নিয়েছে। জমিটি আমার স্বামীর নামে ছিল। ছলনার ফাঁদে ফেলে জমিটি প্রথমে আমার নামে পরে আমার মেয়ে জয়তুন্নেছার নামে এবং পরবর্তীতে প্রতারক জামাই সোহাগ তার নামে লিখে নেয়। আমি দুই বার হজ্ব করেছি বাবা আমি মিথ্যা বলব না। আমার এক ছেলে ও অন্য ৫ মেয়েকে ঠকিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সোহাগ ওই কাজ করেছে। আমার জমি আমি ফেরত চাই। যেখানে আমার স্বামীর চিকিৎসার খরচ মিটাতে পারছি না সেখানে কি করে ওই প্রতারক অর্ধকোটি টাকার জমি নিয়ে নেয়। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিভিন্নজন বাড়িতে এসে জমি দখল নেওয়ার জন্য হুমকী দেয়। আমার ঘুম নেই খাওয়া নেই, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমার কিছু হলে সোহাগ এটার জন্য দায়ি থাকবে।
প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে জামাতা সোহাগ মিয়া বলেন, আমি কোন প্রতারণা করে জমি লিখে নেইনি। তিনি স্ব-ইচ্ছায় ৮শতক জমি তার মেয়েকে লিখে দিয়েছেন। আবার কেন জমি ফেরত চেয়ে মামলা করেছেন সেটা আমি জানিনা। আমি আমার জায়গা অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছি। জমির মূল্য কত এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৫০-৬০লাখ টাকা হবে।