রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দেশি অস্ত্র উদ্ধার, ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে দেশি অস্ত্র উদ্ধার, ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীকে ছাত্রবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও পাঁচ শিক্ষার্থীর কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে। 

গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় কলেজের ওয়েবসাইটে অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়। ওই অফিস আদেশে উল্লেখিত নির্দেশনা দেয়া হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি উদ্ভূত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে রোববার অনুষ্ঠিত কলেজের প্রশাসনিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পারিজাত মহাজন, জয় বিশ্বাস, রিদ্ধি বড়ুয়া, আকতাব কাদির ও তার ভাই আকসাদ কাদির, রাকিবুল ইসলাম, এস এম শামারুখ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এইচ এম জাহিন মাহমুদ, মো. নাইমুল ইসলাম ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্ময় পলকে আবাসিক ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল বাসেত, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোকারম হোসেনকে কেন শান্তি প্রদান করা হবে না, তার উপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া এর আগে হল থেকে বহিষ্কৃত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মানিক সাহা, রাকিবুল হাসান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেরাব উদ্দিন চৌধুরীকে হল থেকে বহিষ্কার করা সত্ত্বেও হলে অবস্থান করছে, যা গুরুতর অপরাধ। কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, নিজ নিজ অভিভাবকসহ সশরীর উপস্থিত হয়ে যথোপযুক্ত জবাব ও মুচলেকা দিতে বলা হলো।

এর আগে রোববার বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নগরের রহমতপুর বাইপাস এলাকায় ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিনটি বিভাগে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত সোমবার বিকালে কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদেরও হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কলেজ প্রশাসন।

পরদিন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় পুরো ঘটনা ও অভিযোগের বিষয় তদন্তে জেনারেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কমিটি গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। গত বুধবার সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাস থেকে রামদা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!