ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্কুল পড়ুয়া সন্তানের হাতে মোবাইল ও মোটরসাইকেল দিবেন না: জেলা প্রশাসক

নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আপনার স্কুল পড়ুয়া সন্তানের হাতে মোবাইল ফোন মোটরসাইকেল দিবেন না। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। শিক্ষকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যদি মোবাইল নিয়ে ছাত্ররা বিদ্যালয়ে আসে তাহলে তার মোবাইল নিয়ে আমার কাছে জমা দিন।

অভিভাবকরা আমার কাছ থেকে ফোন নিয়ে আসবে। শিক্ষানুরাগী এই জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নির্ধারিত পোশাক পরে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হবে, প্রতিটা শিক্ষার্থীকে মাথার চুল, হাত ও পায়ের নখ কেটে নিয়মিত স্কুলে আসতে হবে, স্কুলের আইন ভঙ্গ করলে প্রথমে সেই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবারকে সতর্ক করা হবে, যদি পুনরায় আবারও আইন অমান্য করে তাহলে সেই শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনে স্কুল থেকে বের করে দিতে হবে।

সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রতিটা অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের আরও দ্বায়িত্বশীল হওয়ার আহব্বান জানান তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আমাদের সন্তানকে আগামীর জন্য সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোন শিক্ষার্থীর মাদকের সাথে সম্পর্ক থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। সোমবার দুপুরে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্তরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসাবে  উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আলম।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকরা পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীরা যাতে নিয়মিত ক্লাসে হাজির থাকে ও পরিপাটি পোশাক পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় সেই বিষয়ের দিকে নজর দেওয়ার জন্য তাগিদ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আহসান মাহমুদ রাসেল। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে  তিনি আরও বলেন, আপনারা বাবা-মা যারা আছেন সন্তানদের বেশি করে সময় দিবেন, সারাদিন আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, কি করছে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন।

দিন শেষে সন্তানকে সাধ্য মত সময় দিন। সন্তানকে শুধু শাসন করবেন না তাদেরকে আদর ভালবাসাও দিবেন। খেলাধুলা করারও সময় দিতে হবে আমাদের সন্তানকে।