বগুড়ায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপযাপন উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী বগুড়া আর্ট কলেজ আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী সোমবার বিকেল উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রদর্শনী উদ্বোধনের পরেই সকল বয়সী মানুষ দেখতে ভিড় করতে থাকেন।
শহরের টিটু মিলনায়তনে দেশ, বিদেশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গুণী খ্যাতিনামা শিল্পীদের দুই শতাধিক চিত্রকর্ম এ প্রদশনীতে স্থান পেয়েছে।
বগুড়ায় এই প্রথমবারের মতো জমকালো আয়োজনে বৃহত্তর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী দেখে এখানকার দর্শনীরা খুশি। এমন প্রদর্শনী বেশি বেশি আয়োজন করার দাবি জানিয়েছেন দর্শকরা। অন্যদিকে এমন প্রদর্শনীর স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে প্রশাসনের নিকট দাবি করেছেন বগুড়ার শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা।
শিল্পকর্ম প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।
শিল্প সংস্কৃতির বিকাশে আমাদের এই প্রয়াসকে সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্য সোমবার বিকেলে এ ৫ দিনব্যাপী প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বগুড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) পিএম ইমরুল কায়েস প্রধান অতিথি ছিলেন। বগুড়া আর্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছা. উম্মে হাবিবার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন,বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র একেএম মাহবুবুর রহমান, বগুড়া আর্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হেলেনা খানম ইরানী।
এসময় শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। সন্ধ্যায় প্রদর্শনী প্রাঙ্গনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রদর্শনীতে আগত বগুড়া ক`জন শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি লায়ন আব্দুল মবিন জানান, বগুড়ায় এমন শিল্পকর্ম প্রদশনী আগে কখনো হয়নি। নামি দামি ও খ্যাতিমান শিল্পীদের চিত্রকর্মের সমাহার ঘটেছে এখানে। চমৎকার আয়োজন করেছে বগুড়া আর্ট কলেজ। এমন প্রদর্শনী আগামী দিনেও যেন হয় সেই কামনা করছি। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি বগুড়ায় চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর স্থায়ী গ্যালারী প্রতিষ্ঠার জন্য।
বগুড়া আর্ট কলেজের প্রভাষক নিশাত মোনোয়ারা জানান, ৫ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা অনেক শিক্ষনীয় চিত্র দেখতে পাবে। যা শিক্ষার্থীদের আগামী জীবনে কাজে আসবে। এ প্রদর্শনীতে হারিয়ে যাওয়া কিছু জিনিসপত্রের চিত্র দেখতে পাবে। এছাড়াও অনেক চিত্র আছে যেগুলো শিক্ষা জীবনে কাজে আসবে।
বগুড়া আর্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও শান্তা মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, আমার চিত্রও এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। দেশ বিদেশে খ্যাতিনামা দুই শতাধিক শিল্পীদের চিত্রকর্ম এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে।
জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এমন চিত্রকর্ম প্রদর্শনী বগুড়ায় প্রথম হচ্ছে। এখানে আমার দুটি চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। চিত্র দুটি সকল বয়সের মানুষের মনে দাগ কাটবে। দুটি চিত্রের মধ্যে গ্রাম বাংলার নদীর দৃশ্য এবং পাল তোলা নৌকা চলা দৃশ্য। যা এখানকার শিক্ষার্থীরা বাস্তবে আর দেখতে পায় না। দেশ থেকে নদীর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসে, যা ওই চিত্র দেখলে মনে হবে। এরকম সকল চিত্রকর্মের বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এ প্রদর্শনীর সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।