মৌলভীবাজার পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে টিসিবির ফ্যামেলি স্মাট কার্ড পেতে হয়রানি স্বীকার পৌর এলাকাবাসী। অনেক বয়স্ক নারী-পুরুষ পৌরসভার অফিস রুম চেনা জানা থাকলেও চাঁদনীঘাট ইউনিয়ন ছিল তাদের কাছে অজানা অচেনা। ফলে বিপাকে পড়েন তারা। এ ছাড়াও একজনের আইডি ব্যবহার করে অন্য ব্যক্তিকে টিসিবির মাল নিতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, একজন পৌর নাগরিক অন্যের আইডি কার্ড ব্যবহার করে তাকে প্রশ্ন করলে সে প্রশ্ন উত্তর না দিয়ে তাড়তাড়ি করে টিসিবির মাল নিয়ে চলে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার ১নং ওয়ার্ডে টিসিবির মাল বিত্রিু করা হয়।
একজন উদ্যোক্তার কাছ থেকে সূত্রে জানা যায়, স্মার্ট কার্ড প্রথম পৌরসভায় দিয়েছে, পৌরসভায় কোন লোক নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি এ বিষয়টা জানতে পারেন তখন আমাদেরকে উদ্যোক্তাদেরকে স্মার্ট কার্ড অ্যাক্টিভ করে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেন। এই স্মার্ট কার্ডটি তৈরি করা হয়েছে উপজেলার মাধ্যমে। স্মার্ট কার্ডটি অনেকদিন ধরে পৌরসভায় ছিল তারা এ কাজটি অ্যাক্টিভ করেনি।
মৌলভীবাজার পৌরসভা ১নং ওয়াডের কয়েকজন স্মার্ট কার্ড ভুক্তভোগীরা জানান, স্মার্ট কার্ড ছাড়া এখন কিছু টিসিবির মাল নিচ্ছে আগে এরকম দেওয়া হয়নি। আমরা পৌর নাগরিকদের এত ভোগান্তি হচ্ছে স্মার্ট কার্ড নিয়ে, পৌরসভা বলছে ইউনিয়নে যান ইউনিয়ন বলছে পৌরসভায় যান। এখন কিভাবে পৌরসভা যখন স্মার্ট কার্ড দিচ্ছে না, ইউনিয়ন কিভাবে স্মার্ট কার্ড দিচ্ছে এটা আমাদের প্রশ্ন উঠি। আমরা পৌর নাগরিকরা যাতে কষ্ট না পায় সেটার দিকে খেয়াল উচিত মনে করেন।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ১নং ওয়াডের পৌর নাগরিক নুরুল খান জানান, কিছুটা হলেও আমরা পৌর বাসিন্দারা ভোগান্তিতে আছি। আমি পৌরসভার বাসিন্দা, ইউনিয়নের বাসিন্দা নয়। স্মার্ট কার্ড ইউনিয়ন থেকে কেন আনবো বুঝতে পারি না।
ভুক্তভোগী হালিমা বলেন, পৌরসভায় গিয়েছিলাম যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা বলছে স্মার্ট কার্ড সামনের মাসে আসবে। টিসিবির মাল আনতে গিয়েছিলাম যারা মাল বিক্রি করছেন তারা বলছে পরের মাসে আসার জন্য। আজ এই তিন মাস ধরে এভাবে হয়রানি করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড আমি পাইনি।
মৌলভীবাজার সদর প্রিয়জন ভ্যারাইটিজ স্টোর ডিলার মুশাহিদ আলী বলেন, সুন্দরভাবে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছি এবং সকাল থেকে ৫টা পর্যন্ত সুন্দরভাবে মাল দিচ্ছি। ভোটার আইডি কার্ড এবং যারা স্মার্ট কার্ড নিয়ে আসছেন তাদেরকে এক্স এর মাধ্যমে স্মার্ট কার্ড দিতেছি আর ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে মাস্টার রোলের মাধ্যমে টিসিবির মাল দেওয়া হচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর ৭নং ইউনিয়নের চাঁদনীঘাট উদ্যোক্তা প্রদীপ কুমার বলেন, মৌলভীবাজার পৌরসভা যারা দায়িত্ব কর্মকর্তা ছিল তারা স্মার্ট কার্ড অ্যাক্টিভ করেনি এজন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি আমাদেরকে স্মার্ট কার্ডের দায়িত্ব দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাজ উদ্দিন ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্মার্ট কার্ড বিষয়ে আমি দেখতেছি। স্মার্ট কার্ড নিয়ে যারা সদস্য আছে তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যারা আছে কথা বলবো।
আপনার মতামত লিখুন :