সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মদন মোহন কলেজে আন্তঃক্রীড়া, বহিঃক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মদন মোহন কলেজের সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাংলা বিভাগের প্রধান হোসনে আরা কামালীর সভাপতিত্বে ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক লে. মো. মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি মদন মোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ সবর্বানী অর্জুন ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিপ্রেশ রঞ্জন রায়।
প্রধান অথিতি তার বক্তব্যে তিনি বলেন, আন্তঃক্রীড়া, বহিঃক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান শুধু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশেই নয়, বরং তাদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ, সহমর্মিতা এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে। আন্তঃক্রীড়া ও বহিঃক্রীড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব, দলগত কাজের মানসিকতা ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করে।
ক্রীড়া মানুষকে শৃঙ্খলাপরায়ণ করে তোলে এবং জীবনের নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে শেখায়। সাহিত্য ও সংস্কৃতি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের পরিচায়ক। শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সাহিত্য ও সংস্কৃতি অপরিহার্য। সাহিত্য চর্চা আমাদের মনকে প্রসারিত করে এবং সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
এই ধরনের প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানকে তোমাদের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ হিসেবে নাও। পরাজয়কে অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করো এবং বিজয়কে দায়িত্বশীলতার সাথে ধারণ করো। শিক্ষাজীবনে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ তোমাদের ব্যক্তিত্বকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ উপাধ্যক্ষ সর্ব্বনী অর্জ্জুন, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গণিত বিভাগের প্রধান বিপ্রেস রঞ্জন রায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরো ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, রণজিৎ মোহন্ত, সুপ্তি চৌধুরী, আদিবা খানম, রজত কান্তি ভট্টাচার্য, ফরিদ আহমদ, জয়ারানী আইন, রেহানা আক্তার, অমিতা রাণী ভদ্র, মঞ্জুর হোসেন, আলীহাসান পারভেজ, আবুল, মৌসুমি দে, কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম, বিপ্লব চন্দ্র রায়, তাসমিন চৌধুরী, উজ্জ্বল দাস ও শরীরচর্চা শিক্ষক যিশুতোষ দাস প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :