সুনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া জিলা স্কুল গেট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেট। দুর্গন্ধময় পরিবেশে ভোগান্তি জনসাধারণের। এ স্কুলের ছাত্র, শিক্ষকগণ ও অভিভাবকগণ স্কুলটির প্রধান ফটক থেকে পাবলিক টয়লেট অপসারনের দাবী করেছেন।
পাবলিক টয়লেট বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান ফটকের পাশেই অবস্থিত হওয়ায়। সেই টয়লেটটি থেকে নোংরা পানি, মল সহ দুর্গন্ধময় পরিবেশ তৈরী হয়েছে বেশ-কিছুদিন থেকে। তাছাড়াও বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে রাতে খাবারের অস্থায়ী দোকান বসে এবং প্রতিদিন বিদ্যালয়ের গেটে ময়লা, আবর্জনার ¯তুপ হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসেই অভিভাবকসহ একটি বিরূপ পরিস্থিতির স্বীকার হয়।
বেশ কয়েক বছর আগে পৌরসভা এই পাবলিক টয়লেটটি স্থাপন করে বেসরকারি ভাবে এক ব্যাক্তিকে লিজ দেয়। ফলে হাজার হাজার লোকজন এই পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার কারনে আশে পাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও পথচারীদের নাঁকে হাত দিয়ে চলাচল করতে হয়।
ফলে সকল বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট গত বছরের ১০ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে (৪) চারটি দাবী উল্লেখ্য করে আবেদন করলেও তখন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ফলে আজ সকালে প্রতিবেদক সরেজমিনে বিদ্যালয় প্রধান ফটকে গেলে ফটকের সামনের অংশ খুব দুর্গন্ধময় পানিতে ভরা দেখা যায়। ফলে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয়। যার ফলে ছাত্ররা পুনরায় আবেদনটি জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেয় যাতে উক্ত পাবলিক টয়লেট অবসারণ সহ অস্থায়ী দোকান না বসাতে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেন।
ছাত্রদের পক্ষথেকে ফাইয়াজ রহমান রূপান্তর জানায়, উক্ত বিদ্যালয়ের মুল ফটকে পাবলিক টয়লেট আর রাতের বেলা অস্থায়ী দোকান সরে নিয়ে পড়াশুনার সুন্দর পরিবেশের দাবী জানায়।
অভিভাবক ও সিনিয়র সাংবাদিক টি. এম. মামুন এবং মাহফুজ মন্ডল জানান, বিদ্যালয় ফটকে এরকম পরিবেশ সত্যিই দু:খজনক।
সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতী) মোঃ আব্দুল মালেক রতন জানান, বিদ্যালয় প্রধান ফটকের পাশেই পাবলিক টয়লেটটি যথাযথ পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত করছে।অতিদ্রুত টয়লেটকে অপসারন করা প্রয়োজন।
বগুড়া পৌর প্রশাসক (উপসচিব) মাসুম আলী বেগ জানান, ব্যাপারটা অবগত হওয়ার পর আমি তাৎক্ষনিক টয়লেটকে স্থানান্তরিত করার জন্য প্রকৌশলীদের জানিয়েছি। অন্য স্হানে টয়লেটকে সরিয়ে নেয়া হবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হোসনা আফরোজা জানান, এটা আগে আমার নজরে এসেছে। ছাত্ররা আবেদন করলে আমি তৎক্ষনাৎ পৌর প্রশাসক জানাই। পৌর প্রশাসক দ্রুত এটাকে স্থানান্তরিত করবেন।