আম সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও শীতকালে অসময়ে গাছে ঝুলছে পরিপক্ক আম। একই গাছের অন্য ডালগুলোতে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে।
এমন বিরল ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার লোকমানপুর এলাকার মালিগাছা গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য (সার্জেন্ট) আমিরুল ইসলামের বাড়ির আঙিনায় লাগানো আমগাছে। তিনি মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে।
সম্প্রতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে এলাকায় তিনি দেড় একর জমিতে সাত প্রকার জাতের আমের গাছ রোপণ করেছেন। এর মধ্যে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করা কয়েকটির মধ্যে একটি গাছে বছরে তিন বার আম আসে। কিন্তু কেন আসে তিনি জানেন না। তিনি আশ্বিনা জাত হিসেবে পার্শ্ববর্তী বাঘার রুস্তমপুর এলাকা থেকে এই আমের চারাগাছ সংগ্রহ করেছিলেন।
তিনি জানান, একই সাথে অনেক গাছ নেওয়া হলেও শুধু একটি গাছে তিনবার আম আসে। এক আম পরিপক্ক হতে থাকলে আবার মুকুল আসতে থাকে। এই আমের স্বাদও বেশ মিষ্টি। এর আগে এই আম তিনি কৃষিমেলাতেও প্রদর্শন করেছেন।
আমিরুল ইসলাম জানান, গাছ রোপণের প্রথম চার বছর একবার করে আম আসতো। এরপর থেকে দুইবার করে এবং কয়েক বছর থেকে তিনবার করে আম আসা শুরু হয়। প্রায় ১৫ বছর বয়সী এই আম গাছটি দেখতে অনেক মানুষ আসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায় বলেন, আমাদের দেশে কাটিমন বা বারি-১১ জাতের আম বছরে তিন বার আসে। তবে আশ্বিনা জাতের আমের এমন ঘটনা নাই। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।
আপনার মতামত লিখুন :