২ টাকা লাভে রমজানের বাজার দিচ্ছে তরুণরা

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

২ টাকা লাভে রমজানের বাজার দিচ্ছে তরুণরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আসন্ন মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যাতিক্রমী একটি উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তরুণরা৷ বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে ও উপজেলার মানুষকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার তুলে দিতে চমক বাজার নামে একটি ন্যায্যমূল্যর বাজার চালু করেছে তারা। যার কার্যক্রম চলবে ঈদুল ফিতরের আগেররাত পর্যন্ত।  বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ টন পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে তারা। পণ্যগুলো হলো আদা,রসুন,পেঁয়াজ,খেজুর,ছোলা ও খেসারির ডাল।

সাধারণ বাজারে আজ পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও তরুণদের এই চমক বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩৩ টাকা করে, আদা বাজারে ১২০ টাকা বিক্রি করলেও তরুণরা বিক্রি করছে ১১০ টাকা দরে। বাকি পণ্যগুলোর দামেও বাজারের সাথে তফাত রয়েছে। প্রথমদিনই শেষ হয়ে গিয়েছে ছোলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইন ধরে পণ্য ক্রয় করছে ক্রেতারা,যাদের মধ্যে নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষই বেশি।

উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের রাজমিস্ত্রী ইয়াছিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি নিম্ন আয়ের মানুষ, লোকমুখে শোনেছি এইখানে কমদামে বাজার পাওয়া যায়,তাই এসেছি ও পেঁয়াজ,আদা ও রসুন নিয়েছি।

আরেক ক্রেতা বিশারাবাড়ি গ্রামের গৃহিণী খোদেজা বেগম বলেন, বাজারের তুলনায় এই যায়গায় কম দামে পেয়েছি তাই রসুন নিলাম।

চমক বাজারের প্রধান উদ্যোক্তা তানভীর ইসলাম শাহীন জানান, যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজান আসলে ভোগ্যপণ্যের দাম কমে আসে সেখানে আমাদের দেশে চলে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। আজকে আমরা প্রথমদিনের মতো ৭ টন পণ্য আনলেও বেলা ২ টার দিকেই ৪ টন পণ্য বিক্রি হয়ে গেছে। ব্যাবসায়ীরা যেই পণ্য নিয়ে সিন্ডিকেট করবে আমরা সেই পণ্যেই এই চমক বাজারে নিয়ে আসব। আরেক উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান হৃদয় জানান, বড় ভাই গোলাম জিলানী, সংবাদকর্মী আশ্রাফ উজ্জল সহ আমরা বেশকয়েকজন মিলে পুরো রমাজান মাস যেন মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করছি ও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আমরা তৈল,চাল সহ আরো প্রয়োজনীয় পণ্য তুলব। এছাড়াও আমরা খরচ বাদ দিয়ে মাত্র দুই থেকে তিন টাকা লাভে সকল পণ্য বিক্রি করছি।

তরুণদের চমক বাজারে পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ছামিউল ইসলাম জানান, তরুণদের এ উদ্যোগ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ও এটি একটি ইনোভ্যাটিভ উদ্যোগ। যেহেতু সামনে রমজান মাস তাই তাদের এ কার্যক্রমে আশাকরছি সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তারা যদি প্রশাসন কোন সাহায্য চায় অবশ্যই আমরা তাদের পাশে থাকব। 

আবু/এস

Link copied!