সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষে ব্যাপক সফল আইনজীবী দম্পতি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

শ্রীপুরে স্ট্রবেরি চাষে ব্যাপক সফল আইনজীবী দম্পতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকায় জন্মানো একটি ছোট চিরসুবজ আকর্ষণীয় গাছ স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি ছোট ঝোপালো লতানো প্রকৃতির গাছ। এতে শক্ত কোনো কান্ড বা ডালপালা নেই। পাতা সবুজ, ছোট কিনারা খাঁজকাটা, থানকুনি পাতার মতো। লিচুর মতো একটি গাছে অনেক ফল ধরে। কাঁচা ফলের রঙ সবুজাভ, পাকলে উজ্বল টকটকে লাল হয়।

আকর্ষণীয় রঙ, গন্ধ ও উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য স্ট্রবেরি খুবই জনপ্রিয়। এটি ইতালির জাতীয় গাছ হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে বেড়েছে এর চাষ। গাজীপুরের শ্রীপুরে চার বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষে ব্যাপক সফল হয়েছেন এক আইনজীবী দম্পতি।

উপজেলার গোসিংঙ্গা ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে আমির হোসেন বিগত চার বছর ধরে স্ট্রবেরি চাষ করে আসছেন। আমির হোসেন পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি এ বছর চার বিঘা জমিতে ২৩ হাজার চারা রোপন করেছেন। প্রতিটি গাছেই ফলন আসছে। ফল বাজারজাত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনি প্রায় ৮ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি করেছেন। গতকাল দুপুরের দিকে স্ট্রবেরি চাষকৃত জমিতে গিয়ে দেখা যায় ৫/৬ জন নারী স্ট্রবেরি সংগ্রহ করে বালতিতে রাখছেন।  আমির হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার রয়েছেন সেখানে। তিনিও কাজ করছেন। পপি আক্তার হাসিমুখে জানালেন কৃষিতে তাঁদের সফলতার কথা। তাঁর স্বামী মূল উদ্যোক্তা হলেও তিনি স্বামীকে কাজে সব সময় সহায়তা করেন। তাদের দু‍‍`জন সন্তান, তারাও তাদের সহযোগী। এ বছর চারবিঘা জমিতে তাদের খরচ হয়েছে ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু ইতোমধ্যেই তারা ৮ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। আশা করছে এ বছর চার বিঘা জমি থেকে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা বিক্রি হবে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এখানে থেকে স্ট্রবেরি পাঠান তারা।

আইন পেশার পাশাপাশি কিভাবে কৃষিতে ঝুঁকলেন এমন প্রশ্নে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আমি কৃষকের সন্তান। কৃষিতে আগেই ধারণা আছে। পার্শ্ববর্তী বরামা গ্রামের সাইফুল ভাইকে স্ট্রবেরি চাষ করতে দেখে আমিও শুরু করি। ২০২১ সালে প্রথম করি । প্রথমে দু‍‍`বিঘা দিয়ে শুরু করলেও এবার চার বিঘায় করেছি। মালচিং পদ্ধিতিতে চাষ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ফলনে আমি খুব খুশি। প্রথমে হাজার বারো‍‍`শ টাকা কেজি বিক্রি করলেও পরে ৪ শত টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। বেকার যুবকরা চাকরির পিছনে না ছুটে স্ট্রবেরি চাষ করলে অন্যকে আরো চাকরি দিতে পারবে ।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বন্যা বলেন,  স্ট্রবেরি উচ্চ ফলনশীল একটি ফসল।  এটি চাষে বেকারত্ব দূর হতে পারে। শ্রীপুরে অনেক কৃষক এ ফলনচাষে আগের থেকে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!