টেকনাফের সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল নৌঘাট দিয়ে চারদিন সাগরে ভেসে টেকনাফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছে ৩৬ রোহিঙ্গা। রোববার ৫ জানুয়ারি দুপুরে এরা প্রবেশ করে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন মহিলা ৫ জন ও শিশু ১০ জন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে মাছ ধরার নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ হয়ে টেকনাফে অনুপ্রবেশ করেছে ৩৬ রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে, তাদেল ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান বিজিবি।
টেকনাফের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, মেরিন ড্রাইভের মুন্ডারডেইল ঘাট দিয়ে একটি ট্রলারে নারী-শিশুসহ ৩৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবপশ করেছে। তারা এখন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
এ ছাড়া বাহারছড়া ঘাট দিয়ে আরও একটা রোহিঙ্গাবোঝাই বোট সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।
চার দিন সাগরে থাকা মো. আলম (৩০) বলেন, আকিয়াবের পূর্বে নাশং এলাকায় আমাদের গ্রাম। সেখানে ‘মগ বাগি’ (আরাকান আর্মি) রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাই আমরা প্রাণে বাঁচতে একটি কাঠের বোট নিয়ে গত পাঁচ দিন আগে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করি। আজ আমাদের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় একটি ট্রলার টেনে নিয়ে আমাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
একই এলাকার রোহিঙ্গা জাহের আলম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পাঁচটি মুসলিম গ্রাম আছে। সেখান থেকে জোরপূর্বকভাবে ধরে নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ করাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দিয়ে জান্তার বিপক্ষে দাঁড় করাচ্ছে। তাদের দলে যোগ না দিলে রোহিঙ্গাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মূলত রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে আরাকান আর্মি। যুদ্ধ করার চেয়ে বাংলাদেশে মরলে ভালো হবে। তাই বাংলাদেশে চলে আসি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান উদ্দিন বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
টেকনাফ ২ বিজিবি কর্মকর্তা মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, সাগরপথে ৩৬ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :